Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গোলাম মাওলা রনির বাড়ি উচ্ছেদ বন্ধে রিট খারিজ

স্টাফ করেসপনডেন্ট
২৪ জুলাই ২০২২ ১৬:৪২ | আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২২ ১৯:১৮

ফাইল ছবি: হাইকোর্ট

ঢাকা: পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার উলানিয়া বাজারে অবস্থিত সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) গোলাম মাওলা রনির পৈত্রিক বাড়িতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা বন্ধে করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার (২৪ জুলাই) এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. এমদাদুল হক কাজী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

আদেশের পর রিটকারী আইনজীবী মো. এমদাদুল হক কাজী জানান, ১৯৬০ সাল থেকে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা ও দশমিনা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) গোলাম মাওলা রনির বাবা বসবাস করে আসছিলেন। সেটি তার (রনির) পৈত্রিক বাড়ি।

রনির আইনজীবী মো. এমদাদুল হক কাজী আরও জানান, এর আগে ১৯৬০ সালে বাড়ির জায়গাটি তার বাবা কিনেছিলেন। কিন্তু ১৯৭০ সালের বন্যায় সব কাগজপত্র ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালে এ বাড়িতে দোতলা ভবন করা হয়। তখনও সরকার কোনো কিছু জানায়নি। ২০১০ সালে রনির বাবা মারা যান। এত বছর পর সম্প্রতি বাড়ি উচ্ছেদ নিয়ে নোটিশ দিলে আমরা সেটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করি। রিটে রুল জারির পাশাপাশি স্ট্যাটাসকো চেয়েছিলাম। কিন্তু আজ ওই রিটটি শুনানি নিয়ে খারিজ করেছেন আদালত।

তবে রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করবেন বলেও জানান রিটকারী আইনজীবী।

এর আগে, গত ১৯ জুলাই সরকারি জমিতে অবৈধভাবে বাড়ি নির্মাণ করার অভিযোগে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে রনির বাড়িটির একাংশ ভেঙে দেয়।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গোলাম মাওলা রনি উলানিয়া বন্দরে চান্দি ভিটার জমি এক বছর মেয়াদী বন্দবস্ত নিয়ে অবৈধভাবে পাকা স্থাপনাসহ দোতলা ভবন নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। সরকারি জমি থেকে সাবেক এ এমপির স্থাপনা সরিয়ে নিতে একাধিকবার নোটিশ দেওয়া হলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ জুলাই সকালে জেলা প্রশাসন এ অভিযান চালায়।

বিজ্ঞাপন

ওইদিন গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশিষ কুমার জানান, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল কাইয়ুমের নেতৃত্বে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়। এখানে বিশেষ কোনো ব্যক্তির স্থাপনা নয়, উলানিয়া বাজারের ১৫ থেকে ২০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ শতাংশ সরকারি জমি দখলমুক্ত হয়েছে।

সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম

গোলাম মাওলা রনি টপ নিউজ রিট খারিজ হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর