Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘জনগণকে বেশ কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৪ জুলাই ২০২২ ১৬:৩৯ | আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২২ ১৯:২৯

ড. এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম, ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে জনগণনকে বেশ কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বা সামষ্টিক অর্থনীতি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। এজন্য বেশ কিছু ক্ষেত্রে জনগণকে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।

রোববার (২৪ জুলাই) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ: কতটা ঝুঁকিপূর্ণ?’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিং ও বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। সিপিডি আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থান করেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

বিজ্ঞাপন

সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান,বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ম তামিম, সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।

ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের ব্যাংকিং খাতের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ মূলত ব্যাংক খাতের ওপর নির্ভরশীল। তবে আমদানি প্রবৃদ্ধি ভাল। কিন্তু রেমিট্যান্সে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি। আড়াই শতাংশ করে প্রণোদনা দেওয়ায় দেশের কতটা লাভ হয়েছে, তা বুঝাই যাচ্ছে। কিন্তু রফতানির বাজারে বহুমুখীকরণ হচ্ছে না।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমদানি ব্যয় বাড়লেও আমদানি পণ্য বাড়ছে না। দেশ থেকে রফতানি পণ্য বাড়ছে। কিন্তু সেই অর্থে রফতানি মূল্য বাড়ছে না। আমদানির ক্ষেত্রে ওভার প্রাইসিং ও ওভার ভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার হচ্ছে। কিন্তু আমদানির নামে এই অর্থ পাচার রোধে এনবিআর ও সরকারের বড় কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।’

আজিজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘দেশে দারিদ্র বেড়ে গেছে। কিন্তু সরকারিভাবে ডাটা এখনো অনেক পুরাতন। অনেকেই বলছেন দারিদ্র বেড়ে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ হয়ে গেছে। এর স্বীকৃতি দরকার।’

এদিকে, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক সংকট স্বল্পমেয়াদী নয় বলে মন্তব্য করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। বরং এই সংকট মধ্যমেয়াদী হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। আর অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপ পর্যাপ্ত নয় বলেও মন্তব্য সিপিডি’র।

অনুষ্ঠানে সিপিডি জানায়, সরকার যে উদ্যোগগুলো নিয়েছে সেগুলো ইতিবাচক, তবে পর্যাপ্ত নয়। সরকার যে উদ্যোগগুলো নিয়েছে সেগুলো স্বল্পমেয়াদী। মধ্যমেয়াদী সংকট মোকাবিলায় উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সেটা বন্টন খাত, রাজস্ব খাত, রেমিট্যান্স, দারিদ্রদূরীকরণ নিয়ে নেওয়া হয়নি। বর্তমান প্রেক্ষিতে যে সংকট দেখা দিয়েছি তা স্বল্পমেয়াদী নয়। বরং এই সংকট মধ্যমেয়াদী হবে।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘বর্তমান সংকট স্বল্পমেয়াদি নয়, মধ্যমমেয়াদি। এভাবে চললে দেশ দীর্ঘমেয়াদি সংকটের দিকে যাবে। আইএমএস বলেছে ২০২৩ সালেও অর্থনৈতিক সংকট থাকতে পারে। সেখানে শ্রীলঙ্কার অবস্থা বেশি খারাপ বলা হয়েছে। বাংলাদেশের অবস্থান কিছুটা ভালো হলেও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সরকারকে দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নিতে হবে।’

সারাবাংলা/ইএইচটি/এনএস

ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম সিপিডি সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)

বিজ্ঞাপন

রিশাদ-জাহানদাদে কুপোকাত সিলেট
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:২১

আরো

সম্পর্কিত খবর