Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ, সমুদ্রে যেতে প্রস্তুত জেলেরা

মনিরুল ইসলাম, লোকাল করেসপডেন্ট
২৩ জুলাই ২০২২ ১০:৪০

সমুদ্রে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করে করে রাখা হয়েছে নৌকা, ছবি: সারাবাংলা

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী): স্বপ্ন নিয়ে মাছ ধরতে আজ শনিবার (২৩ জুলাই) মধ্য রাতে সাগরে যাবেন জেলেরা। টানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যাওয়ার প্রস্তুত কুয়াকাটাসহ মহিপুর, আলিপুর গঙ্গামতি উপকূলের জেলেরা। সরকার ঘোষিত এ নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে শনিবার দিবাগত রাত ১২টায়। এজন্য ট্রলার মেরামত, নতুন জাল তৈরি ও পুরনো জাল সেলাইসহ সমুদ্রে মাছ ধরার সব কাজ শেষ করেছেন তারা।

এর আগে, দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের প্রজনন বাড়াতে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সব ধরনের মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মৎস্য অধিদফতর। সেই সময়সীমা আগামীকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টার পরই মৎস্য শিকারিরা নেমে পড়বেন ইলিশের সন্ধানে। প্রচুর ইলিশ শিকার করে ঋণের বোঝা দূর করার স্বপ্ন তাদের।

বিজ্ঞাপন

মহিপুর মৎস্য বন্দরের একাধিক জেলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর ইলিশের ভরা মৌসুমে মাছ না পেয়ে উপকুলের জেলেরা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তারপরও সরকারের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মাছ শিকার থেকে বিরত ছিলেন তারা। অবরোধ শেষে সমুদ্রে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়লে দেনা পরিশোধ করতে পারবেন তারা।

কুয়াকাটার জেলে দেলোয়ার মোল্লা বলেন, ‘আমরা সব সময় সরকারি নির্দেশ মেনে গভীর সমুদ্রে মৎস্য শিকার করি। এবারও সরকারি নির্দেশ মেনে গভীর সমুদ্রের ৬৫ দিনের জন্য মৎস্য শিকার বন্ধ রাখি। আশা করছি সাগরে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়বে আমাদের জালে।’

রওনা দেওয়ার আগে ঠিক করা হচ্ছে নৌকার ইঞ্জিন, ছবি: সারাবাংলা

রওনা দেওয়ার আগে ঠিক করা হচ্ছে নৌকার ইঞ্জিন, ছবি: সারাবাংলা

দেশের অন্যতম মৎস্য বন্দর আলীপুরের জেলে মাঝি ইমদাদুল হক বলেন, ‘সরকার ঘোষিত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা পালন করেছি। এরই মধ্যে ইলিশ মাছ ধরার সব প্রস্তুতি শেষ করেছি আমরা। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় অপেক্ষায় আছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামীকাল শনিবার মধ্য রাতে মাছ শিকারে যাব।’

বিজ্ঞাপন

কুয়াকাটা আশার আলো পুনর্বাসন মৎস্যজীবী জেলে সমবায় সমিতি সভাপতি মো.নিজাম শেখ বলেন, ‘অবরোধকালে যদি প্রতিবেশী দেশের জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমানায় মাছ ধরতে না পারে। তাহলে জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে। আমাদের জেলেরা দেনা-পাওনা দিয়ে ভালোভাবে থাকতে পারবে।’

কুয়াকাটা পৌর ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো. মনির শরীফ বলেন, ‘আমরা জেলেদের সরকারি সহযোগিতা করেছি। সব সময় কুয়াকাটার জেলেদের পরামর্শ দিয়েছি আমার। আমি সকালের দিকে জেলে পাড়াগুলোতে গিয়েছিলাম, তখন দেখলাম তারা ব্যস্ত সময় কাটাছে।’

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘এবার ৬৫দিন অবরোধ আমাদের অনেকটা সহযোগিতা করছেন জেলেরা। শুক্রবার সকাল থেকে দেখছি জেলেরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। গভীর সমুদ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এবার সরকারি তরফ থেকে জেলেদের সহযোগিতা করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দিনরাত মা ইলিশ রক্ষায় কাজ করেছি। এ বছর শতভাগ সফল হয়েছি বলে আশা করছি। কারণ, অবরোধ চলাকালীন সময় প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিসহ বজ্রপাত হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে সব ডিমওয়ালা মা মাছ দ্রুত ডিম ছেড়ে দেয়। এতে সমুদ্রে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ মাছ ধরা পড়ে।’

সারাবাংলা/এনএস

৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা ইলিশ মাছ কুয়াকাটা টপ নিউজ পটুয়াখালী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর