Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হালদায় একদিনের ব্যবধানে ফের মৃত ডলফিন উদ্ধার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২১ জুলাই ২০২২ ১৮:১৭ | আপডেট: ২১ জুলাই ২০২২ ২২:২৭

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের হালদা নদীর একই স্থানে একদিনের ব্যবধানে আরও একটি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে। শরীরে পচন ধরায় ডলফিনটির কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, সেটি নিশ্চিত করতে পারেননি হালদা গবেষকরা।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকালে রাউজান উপজেলার পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের আজিমের ঘাট এলাকায় হালদা নদীতে ভেসে আসা মৃত ডলফিনটি উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিচার্স ল্যাবরেটরির কর্মকর্তাদের নির্দেশে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা ঘটনাস্থলে যান।

বিজ্ঞাপন

ল্যাবরেটরির কো-অর্ডিনেটর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘৭ ফুট দীর্ঘ ডলফিনটির ওজন ৬০ কেজি। ডলফিনটির মৃত্যু কয়েকদিন আগে হয়েছে। শরীরে পচন ধরেছে। এজন্য শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন আছে কি না, বোঝা যাচ্ছে না। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে আমাদের ধারণা, জালে আটকা পড়ে ডলফিনটির মৃত্যু হয়েছে।’

আরও পড়ুন- হালদায় ফের ডলফিন ‘হত্যা’

এর আগে, বুধবার দুপুরের দিকে আজিমের ঘাট এলাকা থেকে নিচের ঠোঁট ও দাঁত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়। ডলফিনটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন গবেষক মনজুরুল কিবরিয়া।

গত ১৪ জুলাই রাউজান পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গহিরা এলাকায় হালদার সংযোগ খাল বুড়িসর্তায় প্রায় সাড়ে ৮ ফুট দৈর্ঘ্যের ১২০ কেজি ওজনের একটি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। এ পর্যন্ত হালদা নদী ও শাখা খাল মিলিয়ে ৩৮টি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মনজুরুল কিবরিয়া।

গাঙ্গেয় প্রজাতির ডলফিনের বিচরণ আছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও হালদা নদীতে। ২০১৭ সাল থেকে কর্ণফুলী ও হালদা নদীর ডলফিন নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন গবেষকরা। তখন থেকে হালদা ও কর্ণফুলীতে মৃত ডলফিনের সংখ্যা গণনা শুরু হয়।

বিজ্ঞাপন

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে হালদা নদীতে ১৮টি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। আরও ১০টি মৃত ডলফিন পাওয়া যায় ২০১৮ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে। আর ২০২১ সালে মোট ৫টি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। চলতি বছরে চারটি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে। এছাড়া কর্ণফুলী নদীতে এ পর্যন্ত দুইটি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে।

কর্ণফুলী ও হালদা নদীপাড়ের বাসিন্দারা স্থানীয়ভাবে একে হুতুম বা ‍শুশুক নামে অভিহিত করে থাকেন। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) গাঙ্গেয় ডলফিনকে বিপন্ন হিসেবে লাল তালিকায় রেখেছে। ২০১২ সালের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

টপ নিউজ মৃত ডলফিন মৃত ডলফিন উদ্ধার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর