Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চবিতে নিয়োগ লেনদেন: কর্মচারী চাকরিচ্যুত

চবি করেসপন্ডেন্ট
৭ জুলাই ২০২২ ২৩:০৭ | আপডেট: ৮ জুলাই ২০২২ ১১:০৬

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে লেনদেনের অডিও রেকর্ড ফাঁসের ঘটনায় উপাচার্যের সাবেক পিএস খালেদ মিসবাহুল মোকর রবীনকে পদাবনতি ও কর্মচারী আহমেদ হোসেনকে চাকরিচ্যুত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৮তম এক্সট্রা অর্ডিনারি সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক কাজী ড. এসএম খসরুল আলম কুদ্দুসী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

অধ্যাপক ড. এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী বলেন, অডিও রেকর্ড ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় জড়িত কর্মচারী আহমদ হোসাইনকে চাকরিচ্যুত ও খালেদ মিসবাহুল রবিনকে পদাবনতি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. এ কে এম মাইনুল হক মিয়াজী ও আমরা সিন্ডিকেট সভায় ১০টি সুপারিশ করছি। সবগুলো গৃহীত হয়েছে।

আরও পড়ুন- চবিতে নিয়োগে লেনদেন, তদন্ত প্রতিবেদন জমা

এর আগে, গত ৩ মার্চ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে মোটা অঙ্কের অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের একান্ত সহকারী মিছবাহু মোকর রবিনের (পিএস) বিরুদ্ধে এসব লেনদেনে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও এসব ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডে এক বিভাগীয় সভাপতিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব নিয়ামক শাখার এক কর্মচারীর নামও উঠে এসেছে।

ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডে উপাচার্যের একান্ত সহকারী রবিনকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি ম্যাডামের সঙ্গে দেখা হলে তোমার কথা বলব। ম্যাডাম যেভাবে বলে সেভাবে হবে। চট্টগ্রামে দেখে তোমাকে টান দিলাম। তোমার ভাবির (মিছবাহু রবিনের স্ত্রী) জন্যও চেষ্টা করেছি, এটা (টাকা) দিতে পারিনি বলে হয়নি। আমার স্ত্রী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছে। বর্তমানে সে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে আছে। বাস্তবতা যেটা, সেটা আমি তোমাকে ইঙ্গিত করলাম।’

বিজ্ঞাপন

ফাঁস হওয়া আরেক ফোনকলের রেকর্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব নিয়ামক শাখার বৃত্তি বিভাগের কর্মচারী আহমেদ হোসেনকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনি লবিং করছেন নাকি? বর্তমান পরিস্থিতি লেনেদেন ছাড়া কোনো কিছু হচ্ছে না। আমি আপনাকে ভিসি ম্যাডামের সঙ্গে বসিয়ে দেবো।’

নিয়োগপ্রার্থী টাকার পরিমাণ জানতে চাইলে উত্তরে আহমেদ হোসেন বলেন, ‘১৬ ধরা হয়েছে। এখানে এখন তৃতীয় শ্রেণিতে চাকরি পেতে ১২ লাখ এবং চতুর্থ শ্রেণির ঝাড়ুদার ও মালির চাকরি পেতেও ৮ লাখ নেওয়া হচ্ছে।’

এসব ফোনকল রেকর্ড ফাঁস হওয়ার সূত্র ধরে অভিযোগের ভিত্তিতে উপাচার্যের একান্ত সহকারী মিছবাহুল মোকর রবীনকে বদলিও করা হয়। পরে এ ঘটনায় গত ৫ মার্চ চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। এরপর ১৬ মার্চ উপাচার্যের পিএস খালেদ মিসবাহুল মোকর রবীন ও কর্মচারী আহমেদ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় বুধবার (৬ জুলাই) দীর্ঘ চার মাস তদন্তে গঠিত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

সারাবাংলা/সিসি/টিআর

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চবি টপ নিউজ তদন্ত প্রতিবেদন নিয়োগে লেনদেনের অভিযোগ