ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় স্কুল শিক্ষকের কারাদণ্ড
৪ জুলাই ২০২২ ২০:০১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে মানহানিকর বক্তব্য লেখায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় এক স্কুল শিক্ষককে আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। একই রায়ে আদালত তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ের আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
সোমবার (৪ জুলাই) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ জহিরুল কবির এ রায় দিয়েছেন।
দণ্ডিত দেবব্রত দাশ প্রকাশ দেবু দাশের বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায়। তিনি হাতিয়ার চৌমুহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের কাব্যতীর্থ বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
মামলার নথিপত্র পর্যালোচনায় জানা গেছে— ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর সকালে চৌমুহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে একদল লোক দেবব্রত দাশের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন।
এতে অভিযোগ করা হয়— দেবব্রত ১৫ অক্টোবর রাত ৯টা ১২ মিনিটে ও ২৮ অক্টোবর রাত ৮টা ৫৯ মিনিটে তার ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া পৃথক দুটি পোস্টে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কটূক্তি করে নানা বক্তব্য লিখেন। এতে ইসলাম ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত সৃষ্টি হয়েছে।
এ অভিযোগ পাবার পর ওইদিনই পুলিশ দেবব্রতকে গ্রেফতার করে। তার মোবাইল থেকে ফেসবুক আইডি যাচাই করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর হাতিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারায় মামলা দায়ের করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী সারাবাংলাকে জানান, মামলা তদন্ত শেষে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিলের পর ২০১৮ সালের ১০ জুন আসামি দেবব্রত দাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল, ঢাকা। পরবর্তীতে মামলাটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ছয়জনের সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় দিয়েছেন।
জামিনে থাকা দেবব্রত দাশ রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন। পরে তাকে সাজামূলে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
সারাবাংলা/আরডি/একে