Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাজশাহীতে ভয়াবহ লোডশেডিং

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৪ জুলাই ২০২২ ১২:৫৯ | আপডেট: ৪ জুলাই ২০২২ ১৫:১৭

রাজশাহী: ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে রাজশাহীর আট জেলার মানুষজন। কয়েকদিন ধরে চাহিদামত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না নর্দান ইলেকট্রিসিটি পাওয়ার কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেড। ২৪ ঘণ্টার যেকোনো সময়ই চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ। কোনো কোনো এলাকায় এক টানা ১ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎই থাকছে না। এতে আষাঢ়ের গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন।

লোডশেডিংয়ের ভয়াবহতা বেড়েছে শনিবার (২ জুলাই) সকাল থেকে। এদিন রাতে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। রোববার (৩ জুলাই) সংকট আরও বাড়ে। সোমবার (৪ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজশাহীর অনেক এলাকায় ৪-৫ বার লোডশেডিং দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

নেসকো সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা ৪২১ মেগাওয়াট। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে এর চেয়ে কম। শনিবার রাজশাহী বিভাগ বিদ্যুৎ পেয়েছে ৩৭৮ মেগাওয়াট। এরমধ্যে শুধু রাজশাহী মহানগর এলাকা পেয়েছে ৬১ মেগাওয়াট। অথচ রাজশাহী মহানগরের বিদ্যুতের চাহিদা ৮২ মেগাওয়াট।

কী কারণে জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদামত বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না তার উত্তর জানা নেই নেসকো কর্মকর্তাদের। কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে সেটিও জানাতে পারছেন না তারা। তবে তারা বলছেন, জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পাওয়ার কারণে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

এদিকে দুর্বিষহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ দেখাচ্ছেন অনেকে। সুজাউদ্দিন ছোটন রোববার সকালে তার ফেসবুকে লিখেছেন, রাত ১২টা থেকে চারবার বিদ্যুতের লোডশেডিং হলো। দিনে হয়েছে আরও অনেকবার। সকাল থেকে কী হবে কে জানে! নগরবাসীর অভিযোগ, বিদ্যুতের সমস্যা নিয়ে জানতে নেসকোর হটলাইনে ফোন করা হলেও তা রিসিভ হয় না।

বিজ্ঞাপন

নগরীর দড়িখড়বোনা এলাকার বাসিন্দা শুকুর আলী জানান, গত কয়েকদিন ধরে দিনে-রাতে সবসময় লোডশেডিং চলছে। একবার বিদ্যুৎ গেলে এক ঘণ্টার আগে ফেরে না। এতে এই ভ্যাপসা গরমে সবাইকে নাজেহাল হতে হচ্ছে। হটলাইনে ফোন করলে কেউ ধরে না।

নগরীর বিনোদপুর এলাকার বাসিন্দা আফসানা মিমি জানান, শনিবার দিবাগত রাত ২টার পর থেকে তাদের এলাকায় লোডশেডিং শুরু হয়েছে। রোববার সকাল পর্যন্ত সাত থেকে আটবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়েছে। প্রতিবার ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। ফলে সারারাত তিনি গরমে ঘুমাতে পারেননি। রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লোডশেডিং হয়েছে আরও তিনবার। এতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরের চেয়ে গ্রামে বিদ্যুৎ সংকট আরও বেশি। লোডশেডিংয়ের কারণে শহরের ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বন্ধ থাকছে কল-কারখানার মেশিন ও যন্ত্রপাতি। বিভিন্ন দফতরে গরমের মধ্যে বসে কাজ করতে হাঁসফাঁস করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিদ্যুতের এই সমস্যা নিয়ে জানতে নেসকো কার্যালয়ে ফোন করেও কোনো লাভ হচ্ছে না।

লোডশেডিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে নেসকোর রাজশাহী অঞ্চলের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদামত বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই লোডশেডিং করতে হচ্ছে। সমস্যাটা কী সেটা আমরাও জানি না। ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ আমাদের জানাতে পারেননি। তাই কবে সমস্যার সমাধান হবে সেটাও বলতে পারছি না।’

সারাবাংলা/এএম

টপ নিউজ লোডশেডিং

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর