‘হংকংয়ের সুরক্ষায় ১ দেশ ২ নীতি জারি থাকবে’
১ জুলাই ২০২২ ১১:৫৯ | আপডেট: ১ জুলাই ২০২২ ১৬:৫৩
হংকংয়ের দীর্ঘমেয়াদে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চীনের নেওয়া এক দেশ দুই নীতি জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা পেয়ে চীনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ২৫ বছর পূর্তিতে হংকং সফরে গিয়ে এ পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
এ উপলক্ষে প্রায় দুই বছর পর চীনের মেইনল্যান্ডের বাইরে বের হলেন শি জিনপিং। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) উচ্চগতির ট্রেনে চেপে হংকং পৌঁছান শি। স্টেশনে তাকে স্বাগত জানান হংকংয়ের বর্তমান প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম এবং তার উত্তরসূরী জন লি।
শুক্রবার (১ জুলাই) প্রধান নির্বাহী হিসেবে শপথ নিয়েছেন জন লি। তার ওই শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, এক দেশ দুই নীতি ইতোমধ্যেই তার যথার্থতার প্রমাণ দিয়েছে, এরকম উপযোগী ব্যবস্থা বাতিল করার পরিকল্পনা চীনের নেই।
এদিকে, এক দেশ দুই নীতি ব্রিটেনের সঙ্গে চীনের হংকং বিনিময় চুক্তিতে উল্লেখ ছিল। যে কারণে হংকংয়ে আলাদা শাসক, আইনসভা এবং শাসন ব্যবস্থা রয়েছে। ২০৪৭ সালে ওই চুক্তির কার্যকারিতা শেষ হয়ে যাবে। তখন হংকংকে চীন মেইনল্যান্ডের সঙ্গে একীভূত করে ফেলবে কি না, এ নিয়ে অধিবাসীদের মধ্যে দুশ্চিন্তা রয়েছে।
যদিও চীন তার স্বার্থসংক্রান্ত ইস্যুতে ইতোমধ্যেই এক দেশ দুই নীতির বরখেলাপ করেছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। হংকংয়ের শাসন ক্ষমতা প্রধান নির্বাহীর হাতে থাকে দীর্ঘদিন ধরে ওই পদে যারা বসছেন তারা বেইজিংয়ের তল্পিবাহক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বন্দি প্রত্যর্পণ আইনবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলনে গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারীদেরকে কঠোর হাতে দমন করে দেখিয়েছে হংকং প্রশাসন।
সারাবাংলা/একেএম