দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তত সরকার— সংসদে প্রধানমন্ত্রী
৩০ জুন ২০২২ ২২:১৯ | আপডেট: ১ জুলাই ২০২২ ০০:৩৫
ঢাকা: দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ভাদ্র মাসের দিকে বন্যার আশঙ্কার কথা জানালেও সেই বন্যা মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বন্যাদুর্গত সিলেট অঞ্চলে ত্রাণ ও পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আগামীতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা আসে সাধারণত ভাদ্র মাসের দিকে। সরকার সেই বন্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। এই বন্যাও আমরা মোকাবিলা করতে পারব। পদ্মা সেতু এই বন্যা মোকাবিলায় সহায়তা করবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন চলছিল।
সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিলেট বিভাগ ও নেত্রকোনা জেলায় বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুনর্বাসন কাজও চলছে। লঞ্চ ও ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডসহ সব মোকাবিলা করেছে সরকার। ওইসব ঘটনার তদন্তও চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পদ্মা সেতু চালুর মাধ্যমে উন্নয়নের স্বর্ণদুয়ার উন্মোচিত হয়েছে বলে ভাষণে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। বলেন, পদ্মা সেতুর ব্যয় নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু বাস্তবতা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এই ব্যয় তুলনামূলক বেশি নয়। ১৯৯৭ সালে আমি যখন জাপান গিয়ে ছিলাম, তখন পদ্মা সেতু ও রূপসা সেতু নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা করি। ওই সময়ে রূপসা সেতু নির্মাণ হলেও পদ্মা সেতু হয়নি। পরে আবারও ক্ষমতায় এই সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন থেকে সরে গেলে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলাম। সংসদে এই ঘোষণা দেওয়ার পর জনগণের ব্যাপক সাড়া পাই। সবশেষ সেতু নির্মাণে সফল হয়েছি। এই সেতুর ফলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে। দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যাবে।
এসময় পদ্মা সেতুর ব্যয় সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য সংসদে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। পদ্মা সেতু নির্মাণে কেন এত ব্যয় হয়েছে, তার পক্ষেও তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন।
সংসদের বাজেট অধিবেশন প্রাণবন্ত ছিল উল্লেখ করে সংসদ নেতা বলেন, এই অধিবেশনে বিরোধী দল যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছে। বিশেষ করে বিএনপি নেতারা যথেষ্ট বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়েছেন। ইচ্ছামতো তারা কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন। আর আমাদের যারা অফিশিয়াল বিরোধী দল (জাতীয় পার্টি), তারাও আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, অধিবেশনে ২২৮ জন সংসদ সদস্য বাজটে আলোচনায় অংশ নেন। ৩৮ ঘণ্টা ৫৭ মিনিট আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য বিরোধী দলীয় নেতাসহ সব সংসদ সদস্যকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
ফাইল ছবি
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর
জাতীয় সংসদ টপ নিউজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদ অধিবেশন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা