দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যায় স্বামী ও প্রথম স্ত্রীর ভাইকে মৃত্যুদণ্ড
৩০ জুন ২০২২ ১৫:৪১
গাইবান্ধা: জেলার সাঘাটা উপজেলায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী ও প্রথম স্ত্রীর ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামিদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ফেরদৌস ওয়াহিদ এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- মো. ছাইফুল ইসলাম হাজী ওরফে বাটপার ছাইফুল। তিনি কামালেরপাড়া গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে। তার প্রথম স্ত্রীর ভাই মো. আব্দুল করিম বসন্তপাড়া গ্রামের মো. চাঁন মিয়ার ছেলে। ছাইফুলের দুই স্ত্রীর নামই এক, পারভীন বেগম। এক্ষেত্রে প্রথম স্ত্রীর বয়স ৩২ এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর বয়স ২৩ বছর।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে উপজেলার কামালেরপাড়া গ্রামের মো. ছাইফুল ইসলাম হাজীর সঙ্গে একই উপজেলার ওসমানেরপাড়া গ্রামের মোছা. পারভীন বেগমের (২৩) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ঘর সংসারকালে মোছা. পারভীন বেগমের কোনো সন্তান হয়নি। ছাইফুলের পূর্বের স্ত্রীর সন্তান থাকায় পারিবারিক ও সাংসারিক কলহ ঝগড়াঝাটি চলে আসছিল। ঘটনার তিন মাস আগে ছাইফুল একটি মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে যান। তখন পারভীন নিজ বাড়িতে চলে আসেন। জামিন পেয়ে পারভীনকে তার বাড়িতে নিয়ে যান ছাইফুল। কিন্তু ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই থেকে পারভীনের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
পরে ৩০ জুলাই বসন্তেরপাড়া গ্রামে ছাইফুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী পারভীন বেগম (৩২) পক্ষের খালা শাশুড়ি মোছা. কোহিনুর বেগম ওরফে বুলির বসতবাড়ির টয়লেটের সেফটি ট্যাংকির ভিতর থেকে দ্বিতীয় স্ত্রী পারভীনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আহম্মেদ আব্দুল্লা কনক অতিরিক্ত পিপি বলেন, এ ঘটনায় নিহত পারভীন বেগমের ভাই আজিজুল রহমান বাদী হয়ে সাঘাটা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
সারাবাংলা/এনএস