পথশিশুদের জন্মসনদ দিতে কী পদক্ষেপ— জানতে হাইকোর্টের রুল
৩০ জুন ২০২২ ১৫:৪৭ | আপডেট: ৩০ জুন ২০২২ ১৮:২৬
ঢাকা: পথশিশুদের জন্মসনদ না দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না— তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদের জন্মসনদ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। পাশাপাশি পথশিশুদের জন্মসনদ দিতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা আগামী তিন মাসের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার জেনারেল, স্বরাষ্ট্র সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তাপস কান্তি বল ও জর্জ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে, গত ২০ মে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও খেলাধূলা নিয়ে কাজ করে ‘স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্ট’ নামের একটি সংগঠনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাপস কান্তি বল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন।
আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে আইনজীবী তাপস কান্তি বল জানান, পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশে পথশিশু রয়েছে ১১ লাখ এবং ২০২৪ সালে এই সংখ্যা গিয়ে ১৬ লাখে উন্নীত হবে। আমরা আদালতকে বলেছি, আইনে সকল শিশুর সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। জন্ম নিবন্ধন আইনেও বলা আছে, পথশিশুদের জন্ম নিবন্ধন সনদ দেওয়ার জন্য শিশুর পিতা-মাতার পরিচয় জানা বাধ্যতামূলক নয়। তারপরও দেশের লাখ লাখ শিশুকে জন্ম নিবন্ধন সনদ দেওয়া হচ্ছে না। আর জন্ম নিবন্ধন সনদ না থাকার কারণে পথশিশুরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারে না। জন্ম নিবন্ধন সনদ না থাকার কারণে শিশুরা অনেক নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এসব বিষয় উল্লেখ করে গত ২০ মে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ রুল জারি করেছেন।
একই সঙ্গে পথশিশুদের জন্ম সনদ দিতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা আগামী তিন মাসের মধ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার জেনারেল, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম