Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘দেশে গ্যাসের চাহিদা বেড়েছে ২ হাজার ১৯৮ মিলিয়ন ঘনফুট’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৮ জুন ২০২২ ১৯:৩৫ | আপডেট: ২৮ জুন ২০২২ ২০:৫৬

ঢাকা: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, ২০০৬ সালে দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের মোট চাহিদা ছিল দৈনিক এক হাজার ৫০২ মিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমান চাহিদা প্রায় তিন হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। সে হিসেবে বিগত ১৬ বছরে দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে ২ হাজার ১৯৮ মিলিয়ন ঘনফুট। একই সময়ে খনিজ তেলের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০ লাখ মেট্রিক টন।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। এদিন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারি দলের সদস্য এম. আবদুল লতিফ।

বিজ্ঞাপন

জবাবে নসরুল হামিদ জানান, ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে দেশে খনিজ তেলের চাহিদা ছিল প্রায় ৩৫ লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমানে চাহিদা প্রায় ৬৩ লাখ মেট্রিক টন। এই চাহিদার বিপরীতে সরকারি ও বিপিসির নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন রিফাইনারী লিমিটেড (ইআরএল) এর বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১৪ লাখ মেট্রিক টন। এছাড়া অন্যান্য উৎস (সরকারি/বেসরকারি ফ্রাকশনেশন প্ল্যান্ট) হতে বার্ষিক চার থেকে সাড়ে চার লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি পণ্য পাওয়া যায়।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় নতুন একটি গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। এটি দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র। এছাড়া বান্দরবান, খাগড়াছড়িসহ পাহাড়ি এলাকায় গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে খাগড়াছড়ির সেমুতাং গ্যাসক্ষেত্র ও এর পার্শ্ববর্তী ২৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ত্রিমাত্রিক সাইসমিক জরিপ সম্পন্ন করা হয়েছে। বর্তমানে ২টি সাইসমিক সার্ভে ওভার এক্সপ্লোরেশন ব্লক ১৫ এবং ২২ প্রকল্পের আওতায় ফেণী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়িসহ পাহাড়ি এলাকায় দ্বিমাত্রিক সাইসমিক জরিপ কার্যক্রম চলছে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও পার্বত্য এলাকায় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের লক্ষ্যে ‘এক্সপ্রেশন অব ইনটারেস্ট’ আহ্বান করা হয়। বিনিয়োগে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর দাখিলকৃত প্রস্তাবগুলো মূল্যায়ন করে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল দেওয়ার কাজ চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম

গ্যাস চাহিদা টপ নিউজ নসরুল হামিদ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর