এগারো দিনে লোকসান ১১ লাখ, বন্ধ ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’
২৫ জুন ২০২২ ২৩:১২ | আপডেট: ২৬ জুন ২০২২ ১০:২২
রাজশাহী: উদ্বোধনের মাত্র ১১ দিনের মাথায় বন্ধ হয়ে গেল আলোচিত ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’। গত ১৩ জুন ট্রেনটি তৃতীয়বারের মত আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছিল।
সবশেষ গত বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী থেকে ছেড়ে যায়। এরপর ট্রেনটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গত ১৩ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ট্রেনটিতে মোট এক লাখ ৭৮ হাজার ৭৭৮ কেজি আম ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। যা থেকে রেলওয়ের আয় হয়েছে দুই লাখ ১২ হাজার ১৭৮ টাকা। আর লোকসান হয়েছে ১১ লাখ ৭ হাজার ৮২২ টাকা।
বিষয়টি সারাবাংলা’কে নিশ্চিত করেছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার। তিনি জানান, ব্যবসায়ী ও আমচাষিদের সঙ্গে আলোচনা করে ট্রেনটি চালু করা হয়েছিল। কিন্তু এবার ব্যবসায়ীরা আম পরিবহনে সেভাবে আগ্রহ দেখাননি। আর সামনেও আসছে কোরবানির ইদ। তাই ট্রেনটি বন্ধ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনের জন্য দু’টি লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) ও পাঁচটি ওয়াগন চলতো। আমরা ভারতীয় মালগাড়ি নিয়ে আসার জন্য এই দু’টি লোকোমোটিভ ব্যবহার করতাম। এজন্য লোকোমেটিভ কম হয়ে যেত। তখন একটা লোকোমেটিভ দিয়ে মালগাড়ি চালাতে হতো।
প্রতিদিন লাখ টাকা লোকসান দিয়ে চলছে ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন’
‘ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন’ কবে থেকে চলবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কোরবানি ইদের এক সপ্তাহ আগে থেকে চলবে। এর আগেও আমরা কোরবানি পশুর জন্য ক্যাটল ট্রেন চালু করেছিলাম। এবারও করা হবে। তাই আগে থেকেই ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন বন্ধ করা হলো। আমাদের এই অঞ্চলের খামারিরা স্বল্প পরিবহন খরচে রাজধানীতে গিয়ে কোরবানির পশু বিক্রি করে বেশি লাভবান হবে এটাই আশা।’
রেলওয়ের হিসাব মতে, ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা রুটে যাওয়া-আসায় পরিবহন ও অপারেশন খাতে প্রতিদিন ব্যয় হয় প্রায় এক লাখ ২০ হাজার টাকা। কিন্তু আয় মাত্র ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। চাষি ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থে প্রতিদিন প্রায় লাখ টাকার লোকসান দেওয়া হচ্ছে। এর আগের দুই বছরও আমের মৌসুমে ট্রেনটি চালু করা হয়েছিল। ওই দু’বছরও আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থে লোকসান গুণেছিল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
তথ্যমতে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রহনপুর, নাচোল, আমনুরা বাইপাস, নেজামপুর, কাঁকনহাট, রাজশাহী, সরদহ, আড়ানী, আব্দুলপুর, আজিমনগর ও লোকমানপুর থেকে আম ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনে পরিবহন করা হতো। এ অঞ্চলের ১৩ স্টেশনের মধ্যে আড়ানি থেকে সর্বোচ্চ আম পরিবহন হয়েছে।
সারাবাংলা/এমও