যমুনায় পানি বাড়ছে, টাঙ্গাইলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
২২ জুন ২০২২ ১৩:০৪ | আপডেট: ২২ জুন ২০২২ ১৩:০৫
টাঙ্গাইল: যমুনা, ঝিনাই, ধলেশ্বরীসহ সবকটি নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ক্রমেই টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছে বন্যাকবলিতরা।
সড়ক ও বাঁধ ভেঙে প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। গবাদিপশু নিয়ে দুর্বিষহ দিন কাটছে বানভাসিদের। বন্যার পানি প্রবেশ করায় ইতোমধ্যেই বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয় গেছে। বন্যার পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় ভেসে যাচ্ছে পুকুরের মাছ। তলিয়ে যাচ্ছে একরের পর একর জমির পাট, আউস ধানসহ বিভিন্ন ফসল। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভূঞাপুর উপজেলার গাবাসারা, অর্জুনা ও গোবিন্দাসী ইউনিয়নে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২২ জুন) যমুনা নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার, ঝিনাই নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৬২ সেন্টিমিটার এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি ১৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারেনি যমুনার নদীর বঙ্গবন্ধু সেতু অংশে। বর্তমানে সেতু অংশে ৬ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে যমুনা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলায় ৬টি উপজেলার শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হলেও এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো সহায়তা পায়নি বন্যার্তরা। যদিও প্রশাসনের দাবি বন্যার্তদের সহায়তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণের ত্রাণ সহায়তা মজুত রয়েছে। তবে জেলার ভূঞাপুরে বন্যার পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে চরাঞ্চলের বসতিরা। এছাড়া যমুনা নদীর পাড় উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় গ্রামীণ রাস্তা ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে।
সারাবাংলা/এএম