Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাজেটে সংসদের ভূমিকা ‘শোনাউল্লাহ’ আর ‘বকাউল্লাহ’র: মেনন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৯ জুন ২০২২ ২৩:১৯ | আপডেট: ২০ জুন ২০২২ ১১:১৯

ঢাকা: বাজেট নিয়ে জাতীয় সংসদ ও সংসদীয় কমিটির তেমন কোনো ভূমিকা নেই বলে বাজেটে সংসদের ভূমিকাকে ‘শোনাউল্লাহ’ আর ‘বকাউল্লাহ’র সঙ্গে তুলনা করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন।

তিনি বলেন, বাজেট আলোচনায় সংসদের ভূমিকা কার্যত‘শোনাউল্লাহ’ আর ‘বকাউল্লাহ’র। আর শেষে ‘হ্যাঁ’ বলার। এর সঙ্গে সংসদের, সংসদের কমিটিগুলোর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ভারতের পার্লামেন্টে বাজেট পেশের পর দুই থেকে চার দিন সাধারণ আলোচনার পর বাজেট বিভিন্ন স্থায়ী কমিটিতে চলে যায়। তার রিপোর্টের ভিত্তিতে সরকারি দল-বিরোধী দলের স্থির করা মন্ত্রণালয়ের বাজেটের ওপর আলোচনা হয়। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল মুহিত বাজেট প্রণয়নের আগে সংসদের স্থায়ী কমিটির সভাপতিদের সঙ্গে আলোচনা করতেন। বর্তমান অর্থমন্ত্রী সেটিও তুলে দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৯ জুন) বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন। এসময় স্পিকারের আসনে ছিলেন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শামসুল হক টুকু।

বাজেট নিয়ে সাধারণ আলোচনায় রাশেদ খান মেনন বলেন, বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী সংসদ প্রণীত আইনও বিবেচনায় নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি। সংসদ প্রণীত দুদক আইন ও মানি লন্ডারিং আইন দু’টোতেই অর্থ পাচার দণ্ডনীয় অপরাধ। আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারের ২৯ পৃষ্ঠায় অর্থ পাচার সম্পর্কিত উপশিরোনামে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা আছে। দুই হাজার কোটি টাকার অর্থ পাচারে অভিযুক্ত সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর ভাই খন্দকার মোহাতে মোনেমের জামিন শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছেন, এটা এত বড় অপরাধ যে জামিনও দেওয়া যায় না। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, অর্থ পাচার সংঘবদ্ধ অপরাধ। নৈতিকতার কথা বাদ দিলাম। কারণ পুঁজি যেখানে লাভ দেখে, সেখানে ফাঁসির দড়িতে ঝুলতেও রাজি। অথচ অর্থমন্ত্রী বলেছেন, যেখানে সুখ আছে সেখানে টাকা যায়। তাই অর্থ পাচারকারীদের ৭ শতাংশ সুদ নিয়ে সেই সুখের সুলক সন্ধান দিলেন অর্থমন্ত্রী। সেদিন তিনি বলেছেন, এটি করবেনই, মাঝপথ থেকে ফিরে আসার লোক তিনি নন। কেবল সংসদ দিয়ে তিনি এটাকে বৈধ করে নিতে চান।

বিজ্ঞাপন

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন। তার নোট পড়ে আমি অর্থনীতিতে জেলখানায় বসে এমএ পাস করেছি। সেই ফরাসউদ্দিন বাজেট নিয়ে বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেট বিত্তবান ব্যবসায়ী, মুনাফাভোগী ও অর্থ পাচারকারীদের স্বার্থ দেখা হয়েছে। সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার যেসব খাতে অগ্রাধিকার দিয়েছে সেটি সরকার ঘোষিত নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান তৈরি বা দারিদ্র্যবান্ধব নীতি গ্রহণ সরকারের পঞ্চবার্ষিকী ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় থাকলেও বাজেট বস্তুত বৃহৎ ব্যবসাবান্ধব। তিনি বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে করপোরেট কর কমানোর কথা বলা হলেও তা বড় ব্যবসায়ীদের জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু গত দুই বছরে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্ষুদ্র অতি ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাত। এরা কোভিড পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় খুব বেশি সহায়তা পায়নি। আবার বাজেটে করপোরেট করে যে ছাড় দেওয়া হয়েছে, তা এদের জন্য প্রযোজ্য নয়। বাস্তবতা হলো— এই খাতেই সবচেয়ে বেশি মানুষ কাজ করেন। অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুরও এমনই কথা বলেছেন।

মেনন আরও বলেন, আমি সিপিডির কথা বললাম না। তাতে অর্থমন্ত্রীর গাত্রদাহ হবে। তবে সব অর্থনীতিবিদদের মতামতকে উড়িয়ে দেওয়াটা যে গোয়ার্তুমি হবে, সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। বাজেট বরাদ্দে সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমানকেও অবাক করেছে। তিনি বলেছেন, ‘সামাজিক সুরক্ষায় বাজেট বরাদ্দ মাত্র ২ শতাংশ বেড়ে ১ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা হয়েছে। বাজেটের শতাংশ হিসাবে এটি ১৯ শতাংশ থেকে কমে ১৭ শতাংশ হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের চাপে থাকা এই বরাদ্দ অবাক করেছে।’ অতি দরিদ্রের ১০ টাকা কেজির ৩০ কেজি চালের দাম বাড়িয়ে কেজিতে ১৫ টাকা করা হয়েছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে সম্ভবত এটি করা হয়েছে। তবে এ সমন্বয়টি এখনই না করাটা কাম্য ছিল। মাননীয় কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, মোটা চালের দাম বাড়েনি। তাহলে প্রশ্ন— গরিবের চালে এই মূল্যবৃদ্ধি কেন?

মেনন বলেন, করের ক্ষেত্রেও আঘাত এসেছে চার কোটি মধ্যবিত্ত ও তদূর্ধ্বদের ওপর। তাদের করজালে আনুন, আপত্তি নেই। কিন্তু সম্পদশালীদের সম্পদ করের ব্যাপারে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে অর্থমন্ত্রী আপনি ৩৮ ধরনের সেবা পেতে কর রিটার্ন দেওয়ার বিধান করছেন মধ্যবিত্তের জন্য। মূসক কর্মকর্তাদের দিচ্ছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার অধিকার। কী দোষ করেছে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, গরিব মানুষরা?

মেনন আরও বলেন, শেখ হাসিনা জানেন— তার ক্ষমতার ভিত এই গরিব-নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত মানুষ। ক্ষমতার পরিবর্তনের সামান্যতম সম্ভাবনা দেখলেই বড়লোকরা আমলাগোষ্ঠী মুহূর্তের মধ্যে রঙ বদলাবে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তাই দেখা গিয়েছিল। মাননীয় অর্থমন্ত্রী ল্যাপটপের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক বাড়িয়েছেন। কোভিডের সময় শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস করেছে। ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের অসুবিধা সেক্ষেত্রে গরিব-মধ্যবিত্ত শিক্ষার্থীদের বিপদে ফেলেছিল। অর্থমন্ত্রী ল্যাপটপের আমদানি শুল্ক ও ইন্টারনেট সেবার  করারোপ এই ডিজিটাইল ডিভাইডকে আরও বাড়াবে। তিন দফা বাজেটে সাবেক অর্থমন্ত্রী মেডিটেশনকে মানসিক স্বাস্থ্যবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন বিধায় একে করের বাইরে রেখেছিলেন। কোভিডের প্রতিক্রিয়ায় যখন মানুষের মনের প্রশান্তি বিপর্যস্ত, সেখানে মেডিটেশনের আশ্রয় নিলে তাকে বেশি মূল্য দিতে হবে কেন? আমি এই প্রতিটি ক্ষেত্রেই করারোপ প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করছি। একইসঙ্গে ব্যক্তি করের সীমা ৩ লাখ থেকে ৪ লাখে উন্নীত করার প্রস্তাব করছি।

রাষ্ট্রের কর্তৃত্বভার এখন অতিক্ষুদ্র ধনীক গোষ্ঠী, সামরিক বেসামরিক আমলাদের হাতে বন্দি বলেও মন্তব্য করেন মেনন। তিনি বলেন, কোভিডকালে প্রধানমন্ত্রী সাহসিকতার সঙ্গে যেসব প্রণোদনা দিয়েছেন, তার কতখানি এরা বাস্তবায়িত করতে দিয়েছেন, তার মূল্যায়ন হওয়া দরকার। সে সবের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সংসদ সদস্যদের অতি অসম্মানজনকভাবে আমলাদের অধীন করা হয়েছিল। এই আমলা নিয়ন্ত্রণই রাজনীতিকদের দুর্বৃত্ত বলে বিবৃতি দিতে তাদের সাহস জোগায়।

রাশেদ খান মেনন বলেন, প্রতি বাজেট আলোচনাতেই আমি দেশের ক্রমবর্ধমান বৈষম্য কোন বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে, সে সম্পর্কে বলেছি। বৈষম্য পরিমাপের গিনি সোহাগ অনুসারে এই বিপদ কোন মাত্রায়, তাও উল্লেখ করেছি। কোভিডের পর এই বৈষম্য আরও বেড়েছে। এই সময়কালে আমাদের দেশসহ পৃথিবীর সব দেশেই ধনীদের সম্পদ লাফিয়ে বেড়েছে, আর গরিব-মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্তদের আয় কমেছে। সরকারি কোনো হিসাব নাই, অথচ বেসরকারি হিসাবে নতুন তিন কোটি দরিদ্র হয়েছে। সরকার স্বীকার করছে না। তাহলে সরকারিভাবে নতুন জরিপ করুন। দারিদ্র্য ও বৈষম্য নিয়ে আলোচনা করুন।

বাজেটে মানবসম্পদ অর্থাৎ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সংশ্লিষ্ট খাতে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে উল্লেখ করে মেনন বলেন, জিডিপি’র মানসম্মত লক্ষ্য পূরণ করা দূরে থাক, হিসাবে ওই দুই খাতে বাজেট অনুপাতে বরাদ্দ কমেছে। স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির মহোৎসবটি কোভিডকাল আমাদের দেখিয়েছে। মন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন, স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বাস্তবায়নে তাদের সক্ষমতা নেই। ২০১০-এর জাতীয় শিক্ষানীতি এখন যেন অতীতের ব্যাপার। নতুন শিক্ষাক্রমে বিজ্ঞান, গণিত পিছিয়েছে। আর দুর্নীতির কথা না বললাম।

সিলেট-সুনামগঞ্জের ভয়াবহ বন্যা প্রসঙ্গে এই সংসদ সদস্য বলেন, আমরা যখন আলোচনা করছি তখন সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কুড়িগ্রামের ভয়াবহ বন্যা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, উজানে বৃষ্টিপাতের কারণে নদীর পানি বেড়ে গেছে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনই কি শুধু এর জন্য দায়ী? ভারতের সঙ্গে ৫৪টি নদীর সমস্যা সমাধানে যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক দীর্ঘদিন না হওয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতাশা প্রকাশ করেছেন। বছরের পর বছর ধরে তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না। আবার তিস্তা নদী খননের যে সমীক্ষা সরকার করেছে, তার বাস্তবায়ন হতে পারছে না। কী কারণে? কি সেই ভূ-রাজনৈতিক বাধা? সুরমা নদী শুকনো মৌসুমে হেঁটে পার হওয়া যাচ্ছে। এখন সুরমার পানি সিলেট শহরের বাড়িতে বাড়িতে!

অর্থমন্ত্রী মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে বাজেটের অন্যতম কৌশল বলেছেন। কিন্তু এর জন্য বাজেটে কোনো পথনির্দেশ দেননি বলে অভিযোগ করেন রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশরা রেশনিং ব্যবস্থা চালু করেছিল। আবার তা পুনর্বহাল হোক। টিসিবির গাড়ির পেছনে মধ্যবিত্তদের মুখ লুকিয়ে জিনিস কিনতে হবে না। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে গার্মেন্টস শ্রমিক, সরকারি নিম্ন বেতনভুক্ত কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর দাবি উঠছে। এসবকে ষড়যন্ত্রের অংশ বলে উড়িয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি বোর্ড পুনর্গঠন করা হোক। সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের দাবি বিবেচনায় নেওয়া হোক। ইউনিভার্সাল পেনশন স্কিম একটি সুখবর। এ দাবি আমি কয়েকটি সংসদে তুলেছিলাম। আমার প্রস্তাব খেতমজুরসহ অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমজীবীদের জন্য এটা নন-কনট্রিবিউটরি করতে হবে।

সর্বজনীন পেনশন নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর প্রস্তাব সমর্থন করেন জানিয়ে মেনন বলেন, এই সংসদ সংসদ সদস্যদের পেনশন আইন পাস করেছিল। বিএনপির মহিলা সংসদ সদস্য ফরিদা রহমানের প্রাইভেট মেম্বার বিলে সেটি রদ করা হয়। বোধহয় বিএনপি নেতাদের পেনশন প্রয়োজন হয় না। সংসদ সদস্যের আয় দিয়েই তাদের চতুর্পুরুষ চলতে পারে।

‘রেজিম চেঞ্জে’র খেলা শুরু হয়েছে

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণের অটল থাকার আহ্বান জানান রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, আমরা কঠিন সময় অতিক্রম করছি। কোভিডের অভিঘাত না কাটতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছে, চলছে। আমেরিকা-ইউরোপ তাদের নেতৃত্ব পুনর্বহাল করতে ন্যাটো সম্প্রসারণ করার খেলায় মেতেছে। আর তাই ন্যাটো-রাশিয়ার ছায়া যুদ্ধ চলছে ইউক্রেনে। কিন্তু প্রাচ্যেও যুদ্ধ তৈরির চেষ্টা চলছে। আমেরিকা ‘প্রাচ্যের ন্যাটো’ কোয়াড গঠন করেছে, অকাস গঠন করেছে, আইপিএফ’র কাঠামো দিয়েছে। বাংলাদেশকেও তারা এসবের অন্তর্ভুক্ত করতে চায়। আর প্রাচ্যে এই যুদ্ধ শুরু হলে বাংলাদেশই অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হবে। আমি বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণে তার কন্যা যে ভূ-রাজনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখছেন, তা থেকে নড়বেন না।

মেনন আরও বলেন, এরই মধ্যেই ‘রেজিম চেঞ্জে’র খেলা শুরু হয়েছে। মার্কিনিদের বন্ধুরা এমনভাবে কথা বলছেন যে খোদ স্টেট ডিপার্টমেন্ট (মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) তাদের পেছনে রয়েছে। সাত দিনের মধ্যে সরকার ফেলে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। আমি বলি, ষড়যন্ত্রের খেলা বন্ধ করুন। এটি পঁচাত্তর বা ২০০১ নয়। নিজের অর্থায়নে বাংলাদেশ পদ্মা সেতু করেছে। এটি শেখ হাসিনার গৌরব, বাংলাদেশের গৌরব। তাকে হেয় করে, খাটো করে, তার দাবিদার সেজে বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেওয়া যাবে না। উন্নয়নশীল দেশের অভিধা নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। এগিয়ে যাবে একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায়। প্রধানমন্ত্রী, এ লড়াইয়ে ওয়ার্কার্স পার্টি ও ১৪ দল আছে, থাকবে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

টপ নিউজ বাজেট রাশেদ খান মেনন সংসদ অধিবেশন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর