তারেক-জোবায়দা পলাতক কি না জানা যাবে ২৬ জুন
১৯ জুন ২০২২ ১৫:২৬
ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান আইনের দৃষ্টিতে পলাতক কি না এ বিষয়ে আগামী ২৬ জুন আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া তাদের পক্ষে আইনজীবীরা মামলা পরিচালনা করতে পারবেন কি না, সেই বিষয়েও আদেশের জন্য দিন ধার্য রাখা হয়েছে।
রোববার (১৯ জুন) এ বিষয়ে শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
আদালতে তারেক এবং তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন। তাদের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কায়সার কামাল।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
পরে তারেক রহমানের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন জানান, তারেক রহমান দেশে থাকতে আইনের মধ্যে থেকেই জামিন নিয়েছেন। জামিনে থাকা অবস্থায় তিনি দেশের বাইরে গেছেন। তার বিরুদ্ধে বহু মামলা পেন্ডিং আছে। আমি বলব রাজনৈতিকভাবে এত দিন পরে মামলাটি উত্থাপন করা হয়েছে। এতদিন পর প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে তারেক রহমান পলাতক কি না। সে বিষয়ে শুনানি হয়েছে। আমরা বলেছি, তারেক রহমান আপিল বিভাগ পর্যন্ত জামিনে আছেন। জামিনে থাকলে কখনো পলাতক হয় না। এদেশে কোনো উদারহণও নাই যে এক মামলায় সাজা হলে আরেক মামলায় জামিনে থাকলে তিনি পলাতক। যে মামলায় জামিনে আছেন সে মামলায় তিনি পলাতক না। সুতরাং এ মামলায়ও তাকে পলাতক বলা যাবে না।
অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আপিল বিভাগ বলে দিয়েছেন জোবাইদা রহমান পলাতক। কাজেই উনার পক্ষে শুনানি করার কোনো সুযোগ নাই।
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের বিষয়ে আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার। ২১শে গ্রেনেড হামলা মামলা, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা, এছাড়া একটি অর্থপাচার মামলাসহ তিনটি মামলায় তারেক রহমানের সাজা হয়েছে। এই তিন মামলায় তিনি পলাতক আছেন। তাকে খুঁজছে পুলিশ। এ অবস্থায় হাইকোর্টে যখন তিনি মামলা করেছেন তখন হয়তো তিনি পলাতক ছিলেন না। কিন্তু এরই মধ্যে তিনি তিনটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। এ অবস্থায় এই মামলায় তারপক্ষে শুনানি করার কোনো সুযোগ নাই।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও হিসাব বিবরণীতে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা দায়ের ও তার প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তারেক ও জোবাইদা ১৫ বছর আগে হাইকোর্ট পৃথক তিনটি রিট করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট।
১৫ বছর পর গত ২৯ মে সে তিন রিটের রুল শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় আসে। তবে আইনের দৃষ্টিতে তারেক রহমান পলাতক বলে তার পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াতে পারেন কি না—তা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন রাখে দুদক। সেই প্রশ্নে পরবর্তীতে হাইকোর্টে কয়েকদিন শুনানি হয়।
আজ এ সব বিষয়ে শুনানি শেষে আদালত আগামী ২৬ জুন আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এসএসএ