কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
১৭ জুন ২০২২ ১৩:৩২ | আপডেট: ১৭ জুন ২০২২ ১৫:৩৯
কুড়িগ্রাম: জেলায় ব্রহ্মপুত্র নদ, ধরলা ও দুকুমার নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে সদর, উলিপুর ফুলবাড়ী, চিলমারী, রাজারহাট উপজেলার অন্তত ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
চর ও দ্বীপচরগুলো প্লাবিত হওয়ায় ভেঙে পড়েছে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। ঘর-বাড়ি তলিয়ে থাকায় অনেক পরিবার ঘরের ভিতর উচু মাচানে ও নৌকায় দিন পার করছেন।
শুক্রবার (১৭ জুন) সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা, যাত্রাপুর, পাঁচগাছী ইউনিয়ন, উলিপুর উপজেলার হাতিয়া, বেগমগঞ্জ, সাহেবের আলগা, চিলমারী উপজেলার চিলমারী, অষ্টমিরচর, নয়ারহাট ইউনিয়নের চেয়্যারম্যানদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, এসব এলাকায় প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ারচর, রলাকাটা, খেয়ার আলগা ও মাঝিয়ালির চরের প্রায় ৫ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন জানান, ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার, দুধকুমারের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপদসীমার সামান্য নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে নদ-নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সারাবাংলা/এনএস