Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মেট্রোরেলের যাত্রী ফুটপাতে ল্যান্ডিং করবে কেন—প্রশ্ন মেয়র আতিকের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৫ জুন ২০২২ ১৯:৪২ | আপডেট: ১৫ জুন ২০২২ ২০:৩৮

ফাইল ছবি

ঢাকা: জায়গা অধিগ্রহণ ছাড়া মেট্রোরেলের যাত্রীদের জন্য ফুটপাতে ল্যান্ডিংয়ের ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর ফুটপাত দিয়ে যাত্রীরা যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। সেটির জন্য ফুটপাতের ওপর কোনো ল্যান্ডিং দেওয়া যাবে না। আমি মেট্রোরেলকে বলেছি, কেন ফুটপাতে ল্যান্ডিং দিতে হবে? তারা বলছে, জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি। আমার প্রশ্ন এটি আগে কেন করা হলো না।’

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৫ জুন) আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের কার্নিভাল হলে আয়োজিত এমআরটি লাইন-৬ (মেট্রোরেল) এর অগ্রগতি ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনার তিনি এ সব কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘মেট্রোরেল হলো ১০০ বছরের জন্য। সুতরাং এখানে সমন্বয় অবশ্যই করতে হবে। যে ১৮টি জায়গাতে মেট্রোরেল থামবে তার মধ্যে কিছু জায়গাতে ৯ ফুট করে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এখানে বিদেশিরা আসবে দেখবেন আর উন্নত দেশ হবে। যারা মেট্রোরেল করছেন তারা কিন্তু বিদেশেও গিয়েছেন। সুতরাং এই ল্যান্ডিংগুলোর বিষয়ে খেয়াল করা দরকার ছিল। যখন মেট্রোরেল ডিজাইন করা হয়েছে তখন এগুলো খেয়াল করা অবশ্যই উচিত ছিল।’

ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র বলেন, ‘মেট্রোরেলের কারণে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলা যাবে না। তাই এই মেট্রোরেল নিয়ে যত বেশি সমন্বয় হবে ততই বেশি সমস্যা দূর হবে।’

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এটি একটি অগ্রগতি, এটি একটি পরিবর্তন। সেমিনার হলে নানা সমস্যা সমাধান করা যায়। যত বেশি আলোচনা হবে তত বেশি সমস্যা সমাধান হবে। মেট্রোরেল চালু হলে যারা ফুটপাত দিয়ে যাবে তারা যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য মেট্রোরেলে যারা চলাচল করবে তারা যেন অবাধে চলাচল করতে পারবে সেটির জন্য ফুটপাতের ওপর কোনো ল্যান্ডিং দেওয়া যাবে না। আমি মেট্রোরেলকে বলেছি কেন ফুটপাতে ল্যান্ডিং দিতে হবে। তারা বলছে, জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি। তবে আগে কেন এটি করা হলো না। কারণ মেট্রোরেল হলো ১০০ বছরের জন্য সুতরাং এখানে সমন্বয় অবশ্যই করতে হবে। যে ১৮টি জায়গাতে মেট্রোরেল থামবে তার মধ্যে কিছু জায়গাতে জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে ৯ ফিট করে। কিন্তু এরপরেই দোকান ফলে দোকানি দরজা খুললেই ফুটপাত পাচ্ছে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এখানে বিদেশিরা আসবে দেখবে আর উন্নত দেশ হবে। যারা মেট্রোরেল করছেন তারা কিন্তু বিদেশেও গিয়েছেন। সুতরাং এই ল্যান্ডিংগুলোর বিষয়ে খেয়াল করা দরকার ছিলো। যখন মেট্রোরেলের ডিজাইন করা হয়েছে তখন এগুলো খেয়াল করা অবশ্যই উচিত ছিল।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষার জন্য অনেকেই মেট্রোরেল স্টেশনে সাইকেল নিয়ে আসবে। তাহলে স্টেশনে সাইকেল রাখার জায়গার প্রয়োজন ছিল। যিনি কমলাপুর থেকে বা চট্টগ্রাম থেকে এসে মিরপুর নামবেন তখন তার কাছে দুটি ব্যাগ থাকবে। তাহলে তিনি যেন মেট্রোরেল থেকে নেমে হাতে করে দুটি স্যুটকেস নিয়ে যেতে পারবেন সেই জায়গা কি রেখেছি? আমরা সব জায়গাতে পারব না কিন্তু যেখানে ল্যান্ডিং করা হবে সেখানে অবশ্যই পাবলিক জায়গা রাখতে হবে। এগুলো করা আমাদের অত্যন্ত দরকার।’

যাত্রী ভোগান্তি কোনোভাবেই করা যাবে না জানিয়ে মেয়র আরও বলেন, ‘আমরা যখন ৫- ৬ বছর ধরে কাজ করছি তখন আমাদের এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। আমাদের মনে রাখা উচিত কোনোভাবেই যাত্রী ভোগান্তি করা যাবে না। যখন মেট্রোরেল হচ্ছে তার নিচের জায়গা, ড্রেনের জায়গায় কিন্তু মেট্রোরেল হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া মেট্রোরেল লাইটিং থেকে সব মেট্রোরেলের দায়িত্ব। কিন্ত জনগণ জানে এটি মেয়রের দায়িত্ব। তবে জনগণের রাইট আছে মেয়রের কাছে জানার জন্য। তাই মেট্রোরেল করার জন্য পরিবেশ দূষণ করা যাবে না। রাস্তায় বালি রাখা হচ্ছে সেগুলোর জন্য পানি দিতে হবে। ফলে রাজধানীতে যে কোনো কিছু করার আগে সমন্বয় মিটিং করা প্রয়োজন। যত বেশি সমন্বয় হবে ততোবেশি সমস্যা সমাধান হবে। জনগণকে কোনোভাবেই ভোগান্তিতে ফেলা যাবে না।’

অনুষ্ঠানে রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড হাইওয়ে ডিভিশনের সচিব এ বি এম আমিনুল্লাহ নূরীর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, এমওআর পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান রওশন আরা মান্নান, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিকসহ প্রমুখ।

সারাবাংলা/এসজে/একে

টপ নিউজ ডিএনসিসি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলাম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর