নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ, আহতদের ৪-৬ লাখ টাকা দেবে ডিপো কর্তৃপক্ষ
৫ জুন ২০২২ ২৩:৪১ | আপডেট: ৬ জুন ২০২২ ০২:২১
ঢাকা: সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন ও বিস্ফোরণে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে সহায়তা করার ঘোষণা দিয়েছে ডিপো কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে আহতদের ৪ থেকে ৬ লাখ টাকা করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে তারা। এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে বিএম কনটেইনার ডিপো।
রোববার (৫ জুন) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ডিপোর মালিকপক্ষ এসব তথ্য জানিয়েছে। ডিপোটি স্মার্ট গ্রুপের মালিকানাধীন। ওই গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী এই বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আহতদের সহায়তা দেওয়ার তথ্য জানিয়ে বলা হয়, দুর্ঘটনায় যারা গুরুতর আহত বা অঙ্গহানির শিকার হয়েছেন, তাদের প্রত্যেককে ছয় লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়া অন্য যারা আহত হয়েছেন, তাদের প্রত্যেককে দেওয়া হবে চার লাখ টাকা করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই দুর্ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ডিপোর মালিকপক্ষ। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া সরকার গঠিত তদন্ত কমিটিগুলোকে পূর্ণ সহায়তারও অঙ্গীকার করা হয়েছে কোম্পানির পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন-
- ১৩টি মরদেহ শনাক্ত হয়েছে: জেলা প্রশাসক
- ডিএনএ পরীক্ষার পর মরদেহ হস্তান্তর: পুলিশ
- ২০ ঘণ্টাতেও নেভেনি আগুন, নিহত বেড়ে ৪৯
- গুরুতর আহতদের ঢাকায় আনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- রাত ১০টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসবে: সেনাবাহিনী
- সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ১ কোটি টাকা বরাদ্দ দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের
- সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ, পুলিশ সদস্যসহ ৩ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে
- ‘হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড ছড়িয়ে পড়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসছে না’
- ডিপোতে বিস্ফোরণ: ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের মধ্যে নিহত ও নিখোঁজ যারা
- ৭ ফায়ার ফাইটারসহ নিহত ৩৯, হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হচ্ছে আহতদের
- বিএম কনটেইনার ডিপোতে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড মজুতের অনুমতি ছিল না
স্মার্ট গ্রুপ বলছে, দুর্ঘটনার পর থেকে ২০টি অ্যাম্বুলেন্সে করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে আহতদের ভর্তি করা হয়েছে কোম্পানির পক্ষ থেকে। রোগী ও তাদের স্বজনদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণের জন্য চারটি দোকান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আহতদের রক্ত প্রয়োজন হলে তার জন্য স্বেচ্ছাসেবকের ব্যবস্থাও রেখেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আহতরা সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তাদের চিকিৎসার জন্য সম্পূর্ণ খরচ কোম্পানি বহন করবে। দুর্ঘটনায় তাদের কোনো কর্মী নিহত হলে এবং তাদের পরিবারে কোনো শিশু থাকলে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তার পরিবারকে বেতনের সমপরিমাণ টাকা দেওয়া হবে। অথবা এমন কারও পরিবারে উপার্জনক্ষম কেউ থাকলে তার জন্য চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।
এর আগে, স্মার্ট গ্রুপের জিএম মেজর (অব.) শামছুল হায়দার সিদ্দিকী এক ভিডিওবার্তায় নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সম্পূর্ণ দায়িত্ব কোম্পানির পক্ষ থেকে গ্রহণ করার ঘোষণা দেন। পাশাপাশি আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভারও তারা বহন করবেন বলে জানান।
বিএম কনটেইনার ডিপোর ভয়াবহ এই আগুনে এরই মধ্যে ঝরে গেছে ফায়ার সার্ভিসের আট জন ফায়ার ফাইটারসহ ৪৯ জনের প্রাণ। দগ্ধ ও আহত হয়ে এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ।
সারাবাংলা/ইউজে/টিআর