Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রেমের টানে মার্কিন যুবক গাজীপুরে, ধর্ম বদলে হয়েছেন মুসলমান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৪ জুন ২০২২ ১৫:০৬

ঢাকা: প্রেমের টানে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের যুবক রাইয়ান কফম্যান। রোববার (২৯ মে) গাজীপুর জেলায় আসেন তিনি।

রাইয়ান যুক্তরাষ্ট্রের মিজুরি স্টেটের ক্যানসাস সিটির নাগরিক। তিনি ওই এলাকার একটি প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কারখানায় অপারেটর পদে কাজ করেন। লেখাপড়া করেছেন মাধ্যমিক পর্যন্ত। তিনি পরিবারের ছোট ছেলে। তার পরিবারে মা-বাবা ও এক বড় ভাই আছেন।

তার প্রেমিকা সাইদা ইসলাম গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার ভোগড়া মধ্যপাড়া এলাকার মোশারফ হোসেন মাস্টারের নাতনি ও মৃত সিকন্দার আলীর মেয়ে। ২০২০ সালে স্নাতক পাস করেন সাইদা। ২০১৯ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে নানাবাড়িতেই থাকতেন তিনি।

কনে সাইদা ইসলাম বলেন, ২০২১ সালের এপ্রিলে রাইয়ান কফম্যানের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রথম পরিচয় হয়। এ সময় আমরা নিজেদের ফোন নম্বর, ফেসবুক আইডি ও ঠিকানা বিনিময় করি। এরপর থেকে নিয়মিত যোগাযোগ হতো। ফোন ও ভিডিও কলে কথা বলতে বলতে আমাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ট হয়। একে অপরকে ভালোবেসে ফেলি। এভাবে প্রায় এক বছর আমাদের ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক চলতে থাকে।

তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে আমরা দুজনে বিয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। রাইয়ান বিয়ে করার জন্য খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পরে তার ও আমার পরিবারের সম্মতিতে এ বছরের ২৯ মে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আসে। এ দিনই আমাদের প্রথম দেখা হয়। এয়ারপোর্ট থেকে রাইয়ান আমার সঙ্গে নানা বাড়িতে আসে। পরে সামাজিক ও ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। বর্তমানে আমরা নানা বাড়িতেই আছি।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৩ জুন) নবদম্পতি স্থানীয় চান্দনা চৌরাস্তা বাজারে কেনাকাটা করতে যান। এ সময় এ দেশের বাজারের পরিবেশ নিয়ে রাইয়ান বলেন, বাজার খুবই জনাকীর্ণ ও গোলমেলে। রাস্তা-ঘাটের পরিবেশ খুবই নোংরা।

রাইয়ান বলেন, বাঙালিরা খুবই অতিথি পরায়ণ। আমেরিকায় অচেনাদের সঙ্গে কেউ খুব একটা কথা বলে না। কিন্তু বাংলাদেশে আসার পর দেখছি, আমার প্রতি সবাই খুবই আন্তরিক। আমার ক্ষুধা না লাগতেই লোকজন আমাকে খাওয়ানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন, আদর-আপ্যায়ন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন; যা আমেরিকায় বিরল।

সাইদাকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে রাইয়ান বলেন, আনুষঙ্গিক কাগজপত্র (কে-ওয়ান) ভিসা প্রসেসিং করতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। এসব সম্পন্ন হলেই সাইদাকে আমেরিকা নিয়ে যাব।

সারাবাংলা/এএম

ইসলাম ধর্ম টপ নিউজ মার্কিন যুবক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর