জাপানি নাগরিক হত্যা মামলায় পুলিশ পরিদর্শকের সাক্ষ্য
২৯ মে ২০২২ ১৬:১৫ | আপডেট: ২৯ মে ২০২২ ১৭:২১
ঢাকা: উত্তরায় জাপানি নাগরিক হিরোই মিয়াতা হত্যা মামলায় রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার পুলিশ পরিদর্শক কাজী সাহান হকের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। এদিন আরও এক সাক্ষীসহ মামলাটিতে ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো।
রোববার (২৯ মে) দুপুরে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আল-মামুনের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। এদিন সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মাহবুব জমিলও মামলাটিতে সাক্ষ্য দেন।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন— এইচ এম জাকির হোসেন পাটোয়ারী ওরফে রতন, মারুফুল ইসলাম, রাশিদুল ইসলাম বাপ্পি, ফখরুল ইসলাম, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী ও ডা. বিমল চন্দ্র শীল। আসামিদের সবাই জামিনে আছেন।
২০১৫ সালের ২৬ অক্টোবর আসামিরা হিরোই মিয়াতাকে কৌশলে অপহরণ করে আটকে রাখে। এরপর ২৯ অক্টোবর তাকে হত্যা করে গোপনে উত্তরার একটি কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করে।
জানা যায়, ২০০৬ সালের দিক থেকে জাপানি ওই নারী বাংলাদেশে বাস করছিলেন। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তিনি বাংলাদেশে ছিলেন। উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের ১৩/বি নম্বর সড়কের আট নম্বর হোল্ডিংয়ের সিটি হোমসে থাকতেন। এরপর ওই বছরের আগস্টে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় যান তিনি। গত ২৬ অক্টোবর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পায় তার পরিবার। এরপর তার মা ঢাকার জাপানি দূতাবাসকে জানান।
নিখোঁজের ঘটনার পর ওই বছরের ১৯ নভেম্বর জাপানের এক কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
আসামিরা নাটক সাজিয়ে ১২ নম্বর সেক্টরের খালেরপাড় কবরস্থানে ভিকটিমের দাফনের কাজ শেষ করেন। ওই ঘটনায় উত্তরা (পূর্ব) থানার পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান হাওলাদার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
২০১৬ সালের ৩০ জুন মামলাটি তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর মিয়া ছয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ওই বছরের ৩ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
সারাবাংলা/এআই/টিআর
জাপানি নাগরিক হত্যা মামলা পুলিশ পরিদর্শকের সাক্ষ্য হিরোই মিয়াতা হত্যা মামলা