পি কে হালদারসহ ১০ জনকে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ
২৫ মে ২০২২ ২০:১১ | আপডেট: ২৫ মে ২০২২ ২২:৫৮
ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর দায়ের করা মামলায় প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১০ জনকে হাজির হতে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৫ মে) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত এ আদেশ দেন।
বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়া অপর আসামিরা হলেন পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রীতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।
দুদকের কোর্ট ইন্সপেক্টর (সহকারি পরিচালক) আমিনুল ইসলাম এ সব তথ্য নিশ্চিত করেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে দেওয়া গত ২৭ মার্চ দুদকের চার্জশিট গ্রহণ করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। বুধবার (২৫ মে) পরোয়ানা তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর গেজেট বিজ্ঞপ্তির এ আদেশ এলো।
আগামী ৭ জুলাই এর মধ্যে বিজি প্রেসকে এই গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।
এর আগে পি কে হালদারসহ ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। চার্জশিটে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
চার্জশিটভূক্ত অপর চার আসামি গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছে। এই চার আসামি হলেন, পিকে হালদারের বান্ধবী অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা।
এদিন এই চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
অভিযোগে থেকে জানা যায়, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। ওই অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, উৎস গোপন বা আড়াল করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ করেছেন। যা দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সারাবাংলা/এআই/একে