Saturday 04 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

১০ মাসে ১৫ শতাংশ বেড়েছে রাজস্ব আয়

সারাবাংলা ডেস্ক
২৪ মে ২০২২ ০০:৩১ | আপডেট: ২৪ মে ২০২২ ১২:৫০

চলতি ২০২১-২২ করবর্ষের প্রথম ১০ মাসে (২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মোট রাজস্ব আয় ২ লাখ ২৭ হাজার ৬৪১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আয়কর, স্থানীয় পর্যায়ের মূল্য সংযোজন কর (মূসক) এবং আমদানি-রফতানি শুল্ক মিলিয়ে এই আয় এসেছে এনবিআরের। গত করবর্ষের একই সময়ে এই আয় ছিল ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫৮৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সে হিসাবে চলতি করবর্ষের প্রথম ১০ মাসে আগের করবর্ষের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ১৫ দশমিক ২১ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

আগের করবর্ষের তুলনায় রাজস্ব আয় বাড়লেও এই ১০ মাসে অবশ্য লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি এনবিআর। কেননা, এই ১০ মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৬০ হাজার ৩১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩২ হাজার ৩৯০ কোটি ৫১ লাখ টাকা বা প্রায় ১২ শতাংশ রাজস্ব আদায় কম হয়েছে।

এনবিআর সূত্র জানায়, ২০২১-২২ করবর্ষের প্রথম ১০ মাসে সর্বোচ্চ রাজস্ব এসেছে স্থানীয় পর্যায়ে মূসক থেকে, যার পরিমাণ ৮৪ হাজার ৮৯৫ কোটি ২১ লাখ টাকা। অন্যদিকে আমদানি ও রফতানি শুল্ক খাত থেকে আয় হয়েছে ৭৩ হাজার ৬০ কোটি ২৬ লাখ টাকা এবং আয়কর ও ভ্রমণ কর খাতে ৬৯ হাজার ৬৮৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা রাজস্ব জমা হয়েছে এনবিআরের কাছে।

এনবিআর সদস্য ড. আব্দুল মান্নান শিকদার বলেন, আগের তুলনায় ব্যবসায়ী ও ব্যক্তি করদাতাদের মানসিকতায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। তারা প্রতিনিয়ত কমপ্লায়েন্ট হচ্ছেন। পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের কর কর্মকর্তারা তাদের মনিটারিং ব্যবস্থা জোরদার করেছেন। এসব মিলিয়ে রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে ভালো প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।

আয়কর ও মূসক রাজস্ব আয় বৃদ্ধি দেশের সামগ্রিক সুশাসন উন্নতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত ভালো দিক বলে মনে করেন মান্নান শিকদার। বলেন, আমদানি-রফতানি শুল্ক ব্যবস্থায় কর ফাঁকি বন্ধে এনবিআর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। একইসঙ্গে ব্যবসায়ীরা অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করায় মূসক কর প্রদানের ক্ষেত্রে তারা এখন অনেক বেশি কমপ্লায়েন্ট। আবার প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে বেশিসংখ্যক মানুষকে করজালের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। চলতি অর্থবছরের মে ও জুন মাসে রাজস্ব আয় আগের ১০ মাসের তুলনায় আরও ভালো হবে বলে মনে করছেন এনবিআরের এই সদস্য।

বিজ্ঞাপন

এনবিআরের তথ্য বলছে, গত ২০২০-২১ করবর্ষের প্রথম ১০ মাসে আমদানি-রফতানি শুল্ক থেকে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিল ৬১ হাজার ১৩১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, যা চলতি করবর্ষের একই সময়ে বেড়ে হয়েছে ৭৩ হাজার ৬০ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে এই খাতে রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি ১৯ দশমিক ৫১ শতাংশ।

একই সময়ে আয়কর আহরণ বেড়েছে ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত করবর্ষের ১০ মাসে এ খাত থেকে রাজস্ব আয় ছিল ৫৯ হাজার ৬৭০ কোটি ২১ লাখ টাকা, এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ৬৮৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকায়। শুল্ক ও আয়করের মতো মূসক রাজস্ব আয়েও উচ্চ প্রবৃদ্ধি এসেছে। গত করবর্ষের প্রথম ১০ মাসে মূসক রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিল ৭৬ হাজার ৭৮১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, যা এবার বেড়ে হয়েছে ৮৪ হাজার ৮৯৫ কোটি ২১ লাখ টাকা। এই খাতে প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

চলতি করবর্ষে এনবিআরের রাজস্ব আয়ের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। করবর্ষের বাকি দুই মাসে আগের ১০ মাসের তুলনায় বেশি হারে রাজস্ব আদায় সম্ভব হলে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার অনেকটাই কাছাকাছি পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে মনে করছে এনবিআর। বাসস।

সারাবাংলা/টিআর

এনবিআর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড টপ নিউজ রাজস্ব আয়

বিজ্ঞাপন

না ফেরার দেশে অঞ্জনা
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৫৪

এই তাসকিনকে সমীহ করবেন যে কেউ
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৪৭

আরো

সম্পর্কিত খবর