যমুনায় পানি বাড়ছেই, নদীগর্ভে বিলীন ২৫ বাড়িঘর
২০ মে ২০২২ ১৯:৫৬ | আপডেট: ২১ মে ২০২২ ০৮:২৮
সিরাজগঞ্জ: যমুনা নদীর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে নদী তীরবর্তী এলাকায় প্রায় ২৫টি বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের আরকান্দি, ঘাটাবাড়ি, জালালপুর ও পাকুরতলা গ্রামের ব্যাপক নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে এসব বাড়িঘর। বসতবাড়ি হারানো পরিবারগুলো এখন সর্বস্ব হারিয়ে শিশু সন্তানদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
শুক্রবার (২০ মে) সকালে ওই এলাকা ঘুরে দেখা যায়, যেসব ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে, সেসব ঘরবাড়ি থেকে হাতেগোনা দুয়েকটি জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে পেরেছেন এসব পরিবারের সদস্যরা। সরিয়ে নেওয়া সেসব সামান্য জিনিসপত্রই খোলা আকাশের নিচে জড়ো করে আহাজারি করছেন। আর যেসব বসতবাড়ি এখন ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে, সেসব বাড়ির সদস্যরা তাদের জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
িউজ
ভাঙন কবলিত গ্রামের কামরুল ইসলাম, মহির মেম্বর, লালচান ও আকসেদ আলী বলেন, বৃহস্পতিবার রাতের ঝড়-বৃষ্টির সময় যমুনা নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ শুরু হয়। সেই রাতের অন্ধকারে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই যমুনা পাড়ের ২৫টি বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। কোনোমতে হাতে প্রাণ নিয়ে তারা বের হয়ে যেতে পেরেছেন। কিন্তু সহায়সম্পদ যা ছিল, প্রায় সবই চোখের সামনে নদীতে ভেসে গেছে। কিছুই রক্ষা করতে পারেননি।
জালালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ জানান, তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করেছেন। যমুনায় যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন, তাদের জন্য দ্রুত সাহায্য-সহযোগিতা চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি অবহিত করেছেন। কিন্তু এখনো কোনো সহায়তা হাতে পাননি। পেলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে সেই সহায়তা বিতরণ করা হবে।
শাহজাদপুর উপজেল নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ মো. শামসুজ্জোহা বলেন, ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া সরকারের ত্রাণ তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাদের ঘরবাড়ি যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে, তাদের নিরাপদ স্থানে পুনর্বাসন করা হবে।
সারাবাংলা/টিআর