পানিতে ডুবে দৌলতদিয়ায় বন্ধ ঘাট, দুর্ভোগে যাত্রী ও চালকরা
২০ মে ২০২২ ১৬:৪৭ | আপডেট: ২০ মে ২০২২ ১৮:৩৬
রাজবাড়ী: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার অন্যতম প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া প্রান্তে ফেরিঘাট সংকটের কারণে নদী পার হওয়ার জন্য অপেক্ষায় চার শতাধিক যানবাহন। দুটি ঘাট পানিতে ডুবে যাওয়ায় এবং অপর দুটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রচণ্ড রোদে আটকা পড়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যাত্রী ও চালকরা।
শুক্রবার (২০ মে) বেলা ১২টায় সরেজমিন দেখা যায়, দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত কয়েক শত দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান নদী পারের জন্য আটকে আছে।
এদিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ীর কল্যাণপুর পর্যন্ত তিন কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় আটকে আছে কয়েক শত পণ্যবাহী ট্রাক। সেখানে প্রচণ্ড রোদে ট্রাকের নিচে শুয়ে-বসে ক্লান্তি মেটানোর চেষ্টা করছেন ট্রাকের চালক-হেলপাররা।
জানা গেছে, দৌলতদিয়ায় বর্তমানে সাতটি ফেরিঘাটের মধ্যে সচল রয়েছে মাত্র তিনটি। ১৯টি ফেরি দিয়ে এ নৌরুটে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পানি ৮০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এতে দৌলতদিয়ায় ৪ ও ৫ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনের র্যাম্প ডুবে যানবাহন পারাপার বন্ধ রয়েছে। আর ১ ও ২ নম্বর ঘাট দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। আর সচলে রয়েছে ৩, ৬ ও ৭ নম্বর ঘাট।
বরিশাল থেকে আসা ধানের কুঁড়া বোঝাই ট্রাক চালক হাসান বলেন, ‘ঢাকা যেতে মোট সময় লাগে চার থেকে সাড়ে চার ঘণ্টা। আর এখন নদী পারের জন্যই দৌলতদিয়াতে অপেক্ষা করছি ছয় ঘণ্টা। এখনো ফেরির দেখা পেলাম না। যে গরম পড়ছে তাতে মনে হচ্ছে অসুস্থ হয়ে পড়ব। তাই ট্রাকের মধ্যে বেশি গরম লাগায় আরামের জন্য ট্রাকের নিচে শুয়ে আছি।’
যশোর থেকে আসা ভাঙারি বোঝাই ট্রাক চালক আরিফ হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘১৯টি ফেরি থাকতে আমাদের প্রতিনিয়ত মহাসড়কে আটকে থেকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। রাত থেকে খাওয়া-দাওয়া না করে ট্রাকের মধ্যে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড়ে আটকে আছি। কখন যে ফেরির নাগাল পাবো জানি না।’
শিগগিরই পাটুরিয়া থেকে র্যাকার এনে ৪ ও ৫ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনের র্যাম্প ওপরে ওঠানোর কাজ শুরু করা হবে বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (বিআইডাব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন।
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে ১৯টি ফেরি চলমান রয়েছে। কিন্তু ঘাট সংকেটর কারণে যাত্রী ও চালকদের একটু ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ঘাটগুলো মেরামত করা গেলে মানুষের আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না বলে আশা করছি।’
সারাবাংলা/এনএস