জুনের শেষে উদ্বোধন, ‘পদ্মাসেতু’ নামই রাখার ইঙ্গিত
১৯ মে ২০২২ ১৮:৫১ | আপডেট: ১৯ মে ২০২২ ২১:৩৪
ঢাকা: এরই মধ্যে যানচলাচলের জন্য পদ্মাসেতু প্রস্তুত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, জুনের শেষের দিকে সেতুটি উদ্বোধন করা হবে। এর নামও পদ্মাসেতুই থাকবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জুন মাসের শেষের দিকে উদ্বোধন হবে পদ্মাসেতু। তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। ধরে রাখেন জুনের শেষের দিকে উদ্বোধন হতে পারে। আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিষয়টি স্পষ্ট করবেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সচিব এসব কথা বলেন। পদ্মাসেতুর নাম নিয়েও কোনো নতুন সিদ্ধান্ত না আসারই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পদ্মাসেতু নিয়ে কথা হয়েছে। পদ্মাসেতু জুন মাসের শেষে উদ্বোধন হচ্ছে— এটি তো প্রধানমন্ত্রী বলেই দিয়েছেন। আমরাও রেডি আছি। আশা করছি, (জুনের) লাস্ট উইকের আগেই ব্রিজ রেডি হয়ে যাবে।
পদ্মাসেতুর নাম নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত রয়েছে কি না— এমন প্রশ্নের প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, নামে কোনো পরিবর্তন আসছে বলে মনে হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, পদ্মাসেতু ‘পদ্মাসেতু’ই। উনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) যখন পদ্মাসেতু নিয়ে কথা বলবেন, কখন বিষয়টি স্পষ্ট করবেন।
পদ্মাসেতুর টোলহার নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যখনই যেখানে আমরা কোনো সেতু করি, তার টোল ধরা হয় সেতুর ওয়ান পয়েন্ট ফাইভ (দেড় গুণ)। সেই হিসাব ধরেই (পদ্মাসেতুর টোল নির্ধারণ) করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে সরকার যদি মনে করে টোল বেশি হয়েছে, তারা বিবেচনা করবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, অনেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর (যমুনা নদীর ওপর নির্মিত) টোলহারের সঙ্গে পদ্মাসেতুর টোলহারের তুলনা (কম্পেয়ার) করছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেতু হলো ফোর পয়েন্ট এইট (সেতুর দৈর্ঘ্য ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার)। আর এটা (পদ্মাসেতু) হলো নাইন পয়েন্ট এইট সেভেন (পদ্মাসেতুর দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার), যা প্রায় দ্বিগুণ (অলমোস্ট ডাবল)। তাছাড়া এখানকার ফেরি আর যমুনার ফেরির ধরনও এক না।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর