অর্থদণ্ডের পরদিন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ভুয়া চিকিৎসক মনির
১৯ মে ২০২২ ১৩:২৪ | আপডেট: ১৯ মে ২০২২ ১৪:১৭
বাগেরহাট: ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায়ে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পাওয়ার পরদিনই একই অপরাধে আবারও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারে ১ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে জেলে গিয়েছেন ডা. এম এম মনির (৩৭) নামে এক ভুয়া চিকিৎসক ।
বুধবার (১৮ মে) রাত ১১টার দিকে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌরসভার সোলমবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কথিত ওই চিকিৎসকের চেম্বারে অভিযান চালিয়ে এ রায় দেন মোরেলগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান।
দণ্ডপ্রাপ্ত এম এম মনির বাগেরহাট পৌর শহরের হরিণখানা এলাকার সোহরাব হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৩ বছর ধরে নাক, কান, গলা, চক্ষুসহ বিভিন্ন রোগে অভিজ্ঞ এমন সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে এবং মাইকে প্রচারণা চালিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে প্রতারণা চালিয়ে আসছিলেন ভুয়া চিকিৎসক এম এম মনির। তিনি তার সাইনবোর্ড এবং ব্যবস্থাপত্র প্যাডে যে রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি ব্যবহার করেন সেটিও ভুয়া।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. আলী হাসান জানান, ১৮ এপ্রিল (বুধবার) রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত মোরেলগঞ্জ সোলমবাড়িয়া ফেরিঘাটের আলম হুজুরের বাসার নিচতলা থেকে এম এম মনির নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন,২০১০ এর আওতায় এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তিনি জানান, এ ঘটনার আগের দিন ১৭ এপ্রিল (মঙ্গলবার) দুপুরে কচুয়া উপজেলার জিরো পয়েন্ট এলাকায় আসামির চেম্বারে অভিযান চালিয়ে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন। এ সময় আসামি মুচলেকাও দেন। এরপরও তিনি একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি করে ডাক্তারের ভুয়া পদবী ব্যবহার করে প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। তার কোনো চিকিৎসক নিবন্ধন নেই বা কোনো মেডিকেল ডিগ্রিও নেই।
সারাবাংলা/এসএসএ