ভৈরবে পানিতে তলিয়ে গেছে ৩ হাজার হেক্টর জমির ধান
১৬ মে ২০২২ ২১:১৮ | আপডেট: ১৬ মে ২০২২ ২১:২৩
ভৈরব: ভৈরবের জোয়ানশাহী হাওরের ৩ হাজার হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে বৃষ্টির পানিতে। গত কয়েকদিনের অব্যাহত টানা বৃষ্টির কারণে হাওরের একমাত্র ফসল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বেশি মজুরি দিয়েও পাকা ধান কাটার শ্রমিক মিলছে না। বাধ্য হয়ে স্থানীয় স্বজন, শিক্ষার্থীরা ধান কাটতে অংশ নিয়েছেন। পুরোপুরি ধান কেটে ঘরে তুলতে না পারায় লোকসানের মুখে পড়ছেন কৃষকরা।
জানা যায়, ভৈরবের শ্রীনগর, সাদেকপুর ও আগানগরসহ ৩টি ইউনিয়নের মধ্যে অবস্থিত জোয়ানশাহী হাওরে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছিল। যখন ধান ঘরে তোলার সময় হয়েছে, ঠিক তখনই টানা বৃষ্টি আর ঝড়ো হাওয়ায় ধানগাছ বৃষ্টির পানিতে নুয়ে পড়ে, তলিয়ে যায়। এতে অধিকাংশ ধান ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে।
শ্রীনগর ইউনিয়নের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাহের মিয়াসহ কৃষকরা জানান, ৭০০/৮০০ টাকা দৈনিক মজুরি দিয়েও মিলছে না শ্রমিক। তাই বাধ্য হয়ে কৃষকদের আত্মীয়-স্বজন, স্কুলছাত্রদের নিয়ে কোনমতে ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এবার ভালো ফলন হয়েছে কিন্ত বৃষ্টির পানিতে ধান তলিয়ে যাওয়ায় লোকসান গুণতে হবে।
শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খোরশেদ আলম জানান, জোয়ানশাহী হাওরের ধান ঘরে তুলতে কাচাঁ সড়কগুলো পাকা করা হলে কৃষকদের শ্রমিক খরচ অর্ধেকে নেমে আসবে। তাই সড়ক পাকাকরণ ও ধানের বাজারমূল্য বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।
কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে ভৈরবে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্ত এবার ৬ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে।
ভৈরব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম জানান, ভৈরবে এখন পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে শ্রমিক সংকটের কারণে ধানকাটা বিঘ্নিত হচ্ছে। বৃষ্টিতে জোয়ানশাহী হাওরের ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে পানি নেমে গেলে যন্ত্রের সাহায্যে যেন কৃষকরা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে, প্রণোদনা এলে কৃষকদের সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তিনি।
সারাবাংলা/এমও