‘কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার মূল্য ন্যায্য ও যৌক্তিক’
১৫ মে ২০২২ ১৮:১৯ | আপডেট: ১৬ মে ২০২২ ০০:৩১
সিলেট: ধানের দাম বাড়ালে চালের দাম বাড়বে মন্তব্য করে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন ধানের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নাই। তিনি বলেন, কৃষকদের বিভিন্নভাবে প্রণোদনা দেওয়া হয়। সারে ভর্তুকি দেওয়া হয়, বিদ্যুতে ভর্তুকি দেওয়া হয়। সব ভর্তুকির হিসাব করে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার যে মূল্য দেওয়া আছে সেটা ন্যায্য ও যৌক্তিক।
রোববার (১৫ মে) বিকেলে সিলেট সদর উপজেলা খাদ্য গুদাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘হাওরে ফসলের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তাতে খাদ্যে সমস্যা হবে বলে আমি মনে করি না। আমাদের আগের মজুত রয়েছে, আমনের মজুত রয়েছে, বোরোরও শক্তিশালী মজুত গড়ে উঠবে। যেহেতু সুবৃষ্টি আছে সেহেতু সামনে আউশের আবাদও ভালো হবে। সুতরাং বাংলাদেশে খাদ্যের ঘাটতি হবে এমন চিন্তা করা ঠিক হবে না।’
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘গত এক বছর আমরা চাল আমদানি করিনি। আমাদের উৎপাদিত চালেই খাদ্য চাহিদা পূরণ হয়েছে। দেশে গম উৎপাদন হয় কম। তাই গম আমদানি করব।’
তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজ দেশের কৃষকরা উৎপাদন করেছে। উৎপাদিত পেঁয়াজ কিন্তু এখন বাজারে আছে। এর মধ্যে যদি বেশি আমদানি করে ফেলে তাহলে কৃষকরা কিন্তু পেঁয়াজ উৎপাদন ছেড়ে দেবে। পেঁয়াজের দাম আর উঠবে না। সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে, টিসিবির মাধ্যমে চেষ্টা করছে, আমদানি করে চেষ্টা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোজ্যতেলের বিষয়টা শুধু বাংলাদেশে না, সারা বিশ্বব্যাপী চিন্তা করুন। ভারতের কথাও যদি চিন্তা করি তাহলে দেখতে পাই, সেখানে সয়াবিনের দাম ২১০ রুপি প্রতি লিটার। সেই হিসেবে আমরা ভালো আছি। আরও ভালো থাকতে হবে- সেই বিষয়টা নিয়ে আমরা চিন্তা করছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারিভাবে ভারত গম রফতানি বন্ধের প্রজ্ঞাপন দেয়নি। দিলেও এতে বাংলাদেশের উপর তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না।’
খাদ্যমন্ত্রী গুদাম পরিদর্শনকালে মজুতকৃত খাদ্যশস্যের মান পরীক্ষা করেন। এ সময় তার সঙ্গে সিলেটের জেলা প্রশাসক মজিবর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/পিটিএম
কৃষক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার টপ নিউজ ধান ন্যায্য ও যৌক্তিক