পদ্মারেল সংযোগ সেতু: কাজের অগ্রগতি ৫৭ ভাগ, উদ্বোধন ডিসেম্বরে
১৫ মে ২০২২ ১৩:২৩ | আপডেট: ১৫ মে ২০২২ ১৯:৩৫
ঢাকা: পদ্মাসেতুতে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণকাজের সার্বিক অগ্রগতি ৫৭ ভাগ। এর মধ্যে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৬০ শতাংশ। আর মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৭৮ শতাংশ। জুনে যান চলাচলের জন্য পদ্মাসেতু খুলে দেওয়া হলে রেল সংযোগ ডিসেম্বরের মধ্যে চালু করা সম্ভব হবে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
রোববার ( ১৫ মে) পদ্মা রেল সংযোগ সড়কের কাজ পরিদর্শনে গিয়ে এ তথ্য জানান রেলপথমন্ত্রী।
রেলপথমন্ত্রী বলেন, ‘যানবাহন চলাচলের জন্য জুন মাসে পদ্মাসেতু খুলে দেওয়া হলেও একসঙ্গে চালু করা যাচ্ছে না পদ্মাসেতুর রেলের অংশ। সেতুর উদ্বোধন শেষে রেল সংযোগ লাইন স্থাপনের কাজ শুরু হবে। কাজ শুরুর ছয় মাস অর্থাৎ ডিসেম্বরে ঢাকা থেকে পদ্মাসেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত অংশ উদ্বোধন করা যাবে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলকে রেলপথে যুক্ত করে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত।’
এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফার্স্ট ট্র্যাক প্রকল্প উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রুটটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই পথে রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত হলেও আমরা তার আগেই একটি অংশের কাজ শেষ করতে চাই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পরে ভেবেছি, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত যদি লাইনের কাজটা শেষ করতে পারি তাহলে পদ্মাসেতুর সঙ্গেই মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত উদ্বোধন করা যাবে। সে পরিকল্পনা নিয়ে ওয়ার্কপ্ল্যান করেছিলাম। দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত আমরা কানেক্ট করব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মাসেতু যেহেতু সড়ক পথের সঙ্গে কানেক্ট, সেদিকে গুরুত্ব দিয়েই কাজ এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেতু নির্মাণের কাজ ও রেলপথ নির্মাণের কাজে যেন বিঘ্ন না ঘটে সে জন্য একসঙ্গে কাজ করা হয়নি। আগে সেতুর কাজ শেষ হবে তারপর সেতুর নিচ দিয়ে রেল লাইনের কাজের অনুমতি দেবে সেতু বিভাগ ‘
ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত অংশে কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৫৭ ভাগ। এর মধ্যে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৬০ শতাংশ। আর মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৭৮ শতাংশ।
রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘আমরা ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত অর্থাৎ পদ্মাসেতু পার হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত উদ্বোধন করতে চাই। আর ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত এটি যেহেতু পুরো প্রকল্প ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ করতে হবে। আমরা চাই তার আগে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা অংশ এ বছরই ডিসেম্বরের মধ্যে চালু করতে পারি এবং সেভাবে এগোচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘কাজ এগিয়ে কোনো জটিলতা নেই। যেহেতু সড়কমন্ত্রী এরই মধ্যে বলেছেন সড়ক যোগাযোগের জন্য পদ্মাসেতু এরই মধ্যে প্রস্তুত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখনই সময় দেবেন তখনি উদ্বোধন করবেন। আশা করছি জুনেই এটি উদ্বোধন হয়ে যাবে। তারপরেই আমরা রেল লাইন স্থাপনের কাজ করার সুযোগ পাবো।’
মন্ত্রী বলেন, ‘হয়ত সড়ক কর্তৃপক্ষ জুনে সেতু উদ্বোধনের পর আমাদের কাজের অনুমতি দেবে এরপর ছয় মাস সময় লাগবে লাইনটি স্থাপন করতে। ডিসেম্বরে আমরা ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথ উদ্বোধন করতে পারব।’
এর আগে, রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে তিনি মাওয়া অংশে পদ্মা রেল সংযোগ সেতু পরিদর্শন করেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
সারাবাংলা/জেআর/একে