Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘গণফোরাম দালালের দল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৪ মে ২০২২ ১৪:৫৪ | আপডেট: ১৪ মে ২০২২ ১৮:৩০

ঢাকা: মোস্তফা মোহসীন মন্টু নেতৃত্বাধীন গণফোরাম কেন্দ্রীয় পরিষদের সভায় বক্তারা বলেছেন, গত জাতীয় নির্বাচনের পর গণফোরাম দেশ ও জাতির কাছে লেজুড়বৃত্তিক দালাল দল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই দুর্নাম থেকে গণফোরামকে মুক্ত করে শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ ছাড়া গণফোরামর গতি থাকবে না। কেউ আমাদের নির্বাচনী জোট নিতে চাইবে না। বিএনপির সঙ্গে গেলেও তারেক রহমান গণফোরামকে একটি আসনও দেবে না। কেন্দ্রীয় কমিটি নেতৃবৃন্দের প্রশ্ন— তাহলে আমরা কার সঙ্গে জোট করব? আমাদের তো কোনো নির্বাচনি মার্কা নেই।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৪ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত গণফোরামের কেন্দ্রীয় পরিষদের সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

দলটির সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, অ্যাডভোকেট জগলুল আফ্রিদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা চলাকালে দলটির সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু বক্তাদের বক্তব্যের জবাবে বলেন, ‘সময় সবকিছু বলে দেবে। আমাদের সারাদেশে জেলা কমিটিগুলো সক্রিয় করতে হবে। প্রয়োজনে প্রত্যেক জেলায় কেন্দ্রীয় কমিটি সফর করবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য উদ্দেশ্য একটি, সেটি হচ্ছে— আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষভাবে করার জন্য অবশ্যই নির্বাচনকালীন সরকার সেটি জাতীয় কিংবা তত্ত্বাবধায়ক কিংবা তদারকি সরকার যে নামেই হোক গঠন করতে হবে। কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। এই সেন্টিমেন্টের সঙ্গে দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ আছে।’

দলটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী তার লিখিত বক্তব্য বলেন, ‘উন্নয়নের আড়ালে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠন, পাচার ও ভোগ বিলাসের উন্নত নয় জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে সরকার। দেশের জনগণ এই মাফিয়া সরকারের বিরুদ্ধে ত্যক্ত-বিরক্ত।’

তিনি বলেন, ‘দেশের বর্তমান চলমান সংকট উত্তরণে গণফোরামকে তৃণমূল পর্যায় ক্রিয়াশীল ভূমিকা রাখতে হবে। জাতীয় জীবনের যে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তনে আমাদেরকে অংশীদার থাকতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ সর‘কারের অধীনে করার লক্ষ্যে রাজপথে আন্দোলনে শরিক হতে হবে। একইভাবে আগামীতে রাষ্ট্র পরিচালনায় ১৯৭২ এর সংবিধান সমুন্নত রেখে মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার সাম্য মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার বাস্তবায়নে গণফোরাম কঠিন ভূমিকা রাখতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি সাংগঠনিক জেলা মহানগর ও উপজেলায় যুদ্ধের সময়ে সম্মেলন ও সাংগঠনিক কাঠামো দাঁড় করানোর জন্য আহ্বান জানান। পাশাপাশি সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানান।

কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছাত্তার পাঠান বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে গণফোরামকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ক্ষমতার বাইরে থাকা যাবে না। আর নির্বাচনি জোট করতে হলে বিএনপি’র সঙ্গে জোট করতে হবে। জনগণ যদিও তারেক রহমানকে পছন্দ করে না। কারণ তারেক রহমান রাজনৈতিক ধারাকে নষ্ট করেছেন। তারপরও জনগণ বর্তমান পরিস্থিতির কারণে বিএনপির দিকে ঝুঁকে আছে। ভোট ডাকাতি না হলে আগামীতে বিএনপির রাষ্ট্রক্ষমতায় যাবে এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।’

অ্যাডভোকেট মহাসিন রশিদ বলেন, ‘আমরা দলের কাউকে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমতা রাখি না। কারণ আমাদের দলীয় প্রতীক নেই। বিএনপির সঙ্গে যোগ দেব, তারেক রহমান গণফোরামকে একটি আসনও দেবে না।’

তিনি বলেন, ‘গণফোরামকে শক্তিশালী করতে হবে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে রোডম্যাপ তৈরি করে সামনে এগোতে হবে। দলের রেজিস্ট্রেশন নেওয়ার জন্য এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।’

কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ মধু বলেন, ‘গত নির্বাচনের পর দেশবাসীর কাছে গণফোরামকে দালাল রাজনৈতিক দল হিসেবে চিহ্নিত করেছে দেশের জনগণ। তাই আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যেন জনগণ গণফোরামকে গ্রহণ করে।’

সারাবাংলা/একে

আওয়ামী লীগ গণফোরাম টপ নিউজ মোস্তফা মহসীন মন্টু

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর