শপথ নিচ্ছেন রনিল, ধর্মগুরুদের বিরোধিতা
১২ মে ২০২২ ১৯:০৩ | আপডেট: ১২ মে ২০২২ ১৯:৩০
শ্রীলংকার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রনিল বিক্রমাসিংহেকে নিয়োগ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে। প্রধানমন্ত্রী পদে তার শপথ গ্রহণের সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। তবে রনিলকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের বিরোধিতা করছেন দেশটির ধর্মগুরুরা।
শ্রীলংকার দ্য ডেইলি মিরের খবরে বলা হয়, সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠদের প্রতিনিধিত্ব না করার কারণে রনিলের প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ বৈধতা পাবে না বলে ধর্মগুরুরা মনে করছেন।
কলম্বোর আর্চবিশপ কার্ডিনাল ম্যালকম রঞ্জিত বলেন, রনিল বিক্রমাসিংহে জাতীয় সংসদে তার দলের পক্ষ থেকে একমাত্র সদস্য হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেন। অর্থাৎ তিনি সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি নন। তাই তার এই নিয়োগ বৈধ নয়।
আরও পড়ুন- শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল, সন্ধ্যায় শপথ
তিনি আরও বলেন, ধর্মগুরু মহানায়ক থেরো বলেছিলেন, আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় নির্দলীয় কোনো ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেওয়া হোক। তার এই অনুরোধে কর্ণপাত করা উচিত ছিল প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের।
জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্টের যাওয়ার কোনো অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন ওমালপে সবিথা থেরো। তিনি বলেন, জনগণ কখনো এ ধরনের ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী পদে চায়নি। সাবেক প্রধানমন্ত্রীও (সদ্য পদত্যাগী মাহিন্দা রাজাপাকসে) জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন এবং সবকিছু ভণ্ডুল করে দিয়ে সবাইকে ছেড়ে চলে গেছেন। প্রেসিডেন্টও একই পথে হাঁটছেন বলে মনে হচ্ছে।
থেরো বলেন, বিরোধী দলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা বলেছিলেন, তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে আগ্রহী। বিরোধী দলীয় নেতাদের মধ্য থেকেই নির্দলীয় ব্যক্তি হিসেবে কাউকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারত। প্রেসিডেন্টের উচিত ছিল সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব বেছে নেওয়া।
এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রীলংকার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রনিল বিক্রমাসিংহের নাম ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা) তার শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে। সবশেষ খবর বলছে, রনিল শপথ নেওয়ার প্রাক্কালে রয়েছেন।
সারাবাংলা/টিআর