Thursday 23 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফখরুলকে বঙ্গোপসাগরে ঝাঁপ দিতে বললেন কাদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১১ মে ২০২২ ১৫:১৪ | আপডেট: ১১ মে ২০২২ ১৭:৩৯

ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আন্দোলন-নির্বাচনে ব্যর্থ রাজনীতিক মনে করে তাকে বঙ্গোপসাগরে ঝাঁপ দিতে বলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এত ব্যর্থতা নিয়ে আপনি এখনো আছেন? বঙ্গোপসাগরে গিয়ে ঝাঁপ দিচ্ছেন না কেন?

বুধবার (১১ মে) সকালে বনানীর সেতু ভবনে সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বোর্ড মিটিং শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

বিএনপি মহাসচিব দাবি করেছেন, বাংলাদেশের মন্ত্রী-এমপিদের অবস্থা শ্রীলংকার মতো হবে— এর জবাবে জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেবের অবস্থাই সেরকম হবে। আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ এক নেতা। সম্মেলন করে না সময় মতো। এ ধরনের ব্যর্থ নেতারই পদত্যাগ করা উচিত। এবং এদের বঙ্গোপসাগরে ঝাঁপ দেওয়া দরকার।’ ফখরুলের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এত ব্যর্থতা নিয়ে দল করেন, আপনি এখনো আছেন? বঙ্গোপসাগরে গিয়ে ঝাঁপ দিচ্ছেন না কেন?

শ্রীলংকা পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের কিছু কিছু রাজনৈতিক দল আত্মতুষ্টিতে ভুগছে। বাংলাদেশ আর শ্রীলংকার বাস্তবতা এক নয় বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপি অতীতেও নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে নানান ইস্যুতে আশ্রয় খুঁজছে। কখনো আরব বসন্তের স্বপ্ন দেখছে। আবার কখনো পরাশ্রয়ী আন্দোলনে ভর করে ক্ষমতায় যাওয়ার দিবাস্বপ্ন দেখছে। তারা হেফাজতে ভর করেছে, কোটাবিরোধী আন্দোলনসহ নিরাপদ সড়ক আন্দালনেও স্বপ্ন দেখছিল। ভারতের সরকার পরিবর্তনের পর তো ফুল আর মিষ্টি নিয়ে বন্ধের দিনে দূতাবাসের দরজায় গিয়ে অপেক্ষায় ছিল। কখন ক্ষমতায় যাওয়ার বার্তা আসে।’

বিজ্ঞাপন

এরকম মেরুদণ্ডহীন একটি ব্যর্থ রাজনৈতিক দলের সাময়িক আত্মতুষ্টিতে ভোগা ছাড়া আর কিছুই নেই বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের। সয়াবিনের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাজার ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সরকার মজুতদারদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা করছে বলেও অবহিত করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীলতা আশা করি। অবৈধ মজুতদারিতা বাজারে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। গুটিকয়েক অতিমুনাফালোভী ব্যবসায়ীর কারণে বাজার অস্থিতিশীল হতে দিতে পারে না সরকার।’

তিনি বলেন, ‘ফখরুল সাহেব বলেছেন, দলীয় সিদ্ধান্তের কথা আমি কীভাবে বলি। গত নির্বাচনের আগেও বিএনপি নিাবাচনে অংশ নেবে না বলে জোর দাবি করেছিল। শেষমেষ কি হলো? ঠিকই তারা নিরাবাচনে অংশ নিয়েছে। পানি ঘোলা করে হলেও শেষ পর্যন্ত পানি তারা খেয়েছে। সংসদে তারা যাবে না বলেছিল। পরে ঠিকই সংসদে গিয়েছে। ‍শুধু ফখরুল সাহেবের এখানে দ্বিচারিতা। নির্বাচনে জিতেও তিনি তার দায়িত্ব পালনে দায়িত্ব ও কাণ্ডজ্ঞানহীন রাজনীতিকের পরিচয় দিয়েছেন।’

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনে ইভিএম ভোট চায়; কিন্তু নির্বাচন কমিশন বলছে তাদের সক্ষমতা নাই। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। কারণ নির্বাচন সম্পর্কিত সবকিছুই নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার। এখানে আওয়ামী লীগ জোর করে কোনো কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে না। তবে আওয়ামী লীগ গত নির্বাচনের আগে এক সংলাপে নির্বাচন কমিশনকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে, আমরা তিনশ আসনে ইভিএম নির্বাচন চাই। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এটা দাবি করতেই পারে। কমিশন কি সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা তাদের ব্যাপার।’

তিনি বলেন, ‘এটা আমরা জানিয়ে রেখেছি তো আগেই। নতুন করে জানানোর তো প্রয়োজন নেই। নির্বাচন কমিশনে আমাদের দাবি আছে। প্রস্তাব আছে। ইভিএম ভোটে জালিয়াতি এবং কারচুপির কোন রেশ থাকে না। নির্বাচনটা যাতে ফ্রি ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল হয়, সেটা আমরা চাই। পৃথিবীর অনেক দেশে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে ইভিএম চালু করেছে এবং এটি পরীক্ষিত আধুনিক ব্যবস্থা।’

ইভিএম নির্বাচনে জালিয়াতি, কারচুপি- এসবের কোনো সুযোগ নেই বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

ইভিএম কাদের টপ নিউজ ফখরুল ভোট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর