জাদুঘর থেকে জিয়ার নাম সরানোর দাবিতে সমাবেশ
১০ মে ২০২২ ২০:১১ | আপডেট: ১০ মে ২০২২ ২০:১৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: প্রয়াত সামরিক শাসক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নামে চট্টগ্রামের ‘জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের’ নাম পরিবর্তনের দাবিতে সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা জাদুঘরের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়।
মঙ্গলবার (১০ মে) বিকেলে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম ফটকের বিপরীতে ফুটপাতে মঞ্চ বানিয়ে সমাবেশ করে সংগঠনটি। সমাবেশের কারণে হোটেল র্যাডিসনের সামনে থেকে সার্কিট হাউজ হয়ে কাজির দেউড়ির মোড় পর্যন্ত সড়কের একপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
গত ৪ মে ইদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জাদুঘর থেকে জিয়াউর রহমানের নাম সরাতে স্বেচ্ছাসেবক লীগকে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন শুরুর পরামর্শ দিয়েছিলেন। এরপর জাদুঘর ইস্যুতে কর্মসূচি পালনে নেমেছে সংগঠনটি।
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজের সঞ্চালনায় সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ, কাজী নুরুল আবছার ও শহীদুল হক চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের চট্টগ্রাম মহানগরীর আহবায়ক শাহেদ মুরাদ সাকু, বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কাজী রাজেশ ইমরান, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, তসলিম উদ্দীন, দেলোয়ার হোসেন ফরহাদ, মনোয়ার জাহান মনি, নাজমুল হুদা শিপন, আজাদ খান অভি, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. সাইফুদ্দিন, সরফরাজ নেওয়াজ চৌধুরী রবিন, সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশীষ আচার্য্য, প্রচার সম্পাদক তোসাদ্দেক নুর তপু বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘যে ভবনটিকে জিয়াউর রহমানের নামে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটি একটি শত বছরেরও বেশি সময়ের পুরনো ঐতিহাসিক স্থাপনা। এটি সার্কিট হাউজ হিসেবে ব্যবহৃত হত। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী সার্কিট হাউজকে টর্চার ক্যাম্প বানিয়েছিল। অনেক নিরীহ বাঙালি এই ভবনের নির্মম অত্যাচারের পর হত্যার শিকার হয়েছিলেন। বাঙালির রক্তে রঞ্জিত সেই ভবন একজন অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী সেনাশাসকের নামে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহার হতে দেওয়া যায় না।’
‘জিয়াউর রহমান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সেনা ও বিমানবাহিনীর শত, শত মুক্তিযোদ্ধা সদস্যের রক্তে রঞ্জিত ছিল তার হাত। শুধুমাত্র সার্কিট হাউজে অবস্থান করে হত্যার শিকার হয়েছিলেন বলে তার নামে এই ঐতিহাসিক স্থাপনার নামকরণ হতে পারে না,’— বলেন বক্তারা।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষ থেকে মানববন্ধনের ঘোষণা দেওয়া হলেও কর্মসূচি সমাবেশে রূপ নেয়। সমাবেশ শেষে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর