জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিএনপি কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা
১০ মে ২০২২ ১৩:৪১ | আপডেট: ১০ মে ২০২২ ১৭:২৫
চুয়াডাঙ্গা: জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সীগঞ্জে কামাল হোসেন (৬৩) নামে এক ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এবং পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (৯ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জ প্রতিজ্ঞা নার্সিং হোমের সামনে তাকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে প্রতিজ্ঞা নার্সিং হোমে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্য চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কামাল হোসেন জেহালা ইউনিয়নের মুন্সীগঞ্জ মাঝেরপাড়ার মরহুম জাহান মাস্টারের ছেলে। তিনি একজন সক্রিয় বিএনপির কর্মী ছিলেন। তিনি পেশায় একজন ঠিকাদার ছিলেন।
নিহত কামালের স্ত্রী সেলিনা খাতুন জানান, তার স্বামীর সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল একই পাড়ার মোতালেব হোসেনের ঘর জামাই স্বাধীনের। এই কারণে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে স্বাধীন। মৃত্যুর আগে স্বাধীন তাকে মেরেছে বলে জানিয়ে গেছে কামাল।
জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. আহসানুল হক জানান, রাত ১২টার দিকে গুরুতর জখম অবস্থায় এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসে পুলিশ। হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান। মৃত ব্যক্তির বাম পায়ের হাঁটুর নীচে ধারালো অস্ত্রের আঘাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। তার ডান কান দিয়ে রক্তপাত হচ্ছিল। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। তাছাড়া পিঠে দলানো-চটকানোর দাগ দেখা যায়।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আব্দুল আলিম বলেন, রাতে দুর্বৃত্তরা তাকে পিটিয়ে ফেলে রেখে যায়। সেখান থেকে অজ্ঞান অবস্থায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি ক্লিনিকে নেয়। তারপর তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অজ্ঞান অবস্থায় থাকায় কামাল হোসেনের জবানবন্দী নেওয়া সম্ভব হয়নি। সে জন্য কি কারণে সে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণেই তাকে হত্যা করা হতে পারে।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফজ্জামান শরীফ বলেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার কামাল হোসেন বিএনপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানাই।
সারাবাংলা/এসএসএ