ধান কাটা শ্রমিক সংকটে দিশেহারা কৃষক
১০ মে ২০২২ ১১:০৩ | আপডেট: ১০ মে ২০২২ ১১:০৫
নওগাঁ: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধান কাটা-মাড়াইয়ের শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষকরা সময়মতো ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না। ফলে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন উপজেলার কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ মৌসুমে রাণীনগর উপজেলাজুড়ে ১৮ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে ধান রোপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই সকল জাতের ধান পেকে গেছে। অর্ধেকেরও বেশি কৃষকদের জমির ধান কাটা-মাড়াই হয়েছে।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, এ বছর এখন পর্যন্ত মাঠের ৫০ ভাগের বেশি ধান কাটা মাড়াই হয়নি।
কৃষকরা বলছেন, প্রতিবছর নীলফামারী, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, নাটোরসহ বেশ কয়েকটি জেলা থেকে রাণীনগর উপজেলায় ধান কাটা-মাড়াইয়ের জন্য প্রচুর সংখ্যক শ্রমিক আসতেন। কিন্তু এ বছর কৃষকদের চাহিদার তুলনায় মাত্র কয়েকটি জেলার থেকে অনেক কম শ্রমিক এসেছে। তাই ধান কাটার শুরু থেকেই শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। এদিকে শ্রমিক সংকটের কারণে উপজেলার প্রায় প্রতিটি মাঠে ফসল পড়ে থাকায় ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কাসহ লোকসানের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
একডালা গ্রামের কৃষক আক্কাস আলী বলেন, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে আমি প্রায় ১০ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান রোপণ করেছি। গত ৮ থেকে ১০ দিন আগে আমার জমির প্রায় সব ধান পেকে গেছে। এখন পর্যন্ত ধান কাটার শ্রমিক না পাওয়ায় ফসল ঘরে তুলতে পারিনি।
করজ গ্রামের কৃষক মোস্তাক আহমেদ জানান, আমি এবার ১২ বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছি। সব ধান পেকে মাঠে পড়ে আছে। দুঃখের বিষয় ধানগুলো কাটা-মাড়াইয়ের জন্য এখনো পর্যন্ত শ্রমিক পাইনি। তিনি আরও জানান, ঝড়ো হাওয়া ও দফায় দফায় বৃষ্টির কারণে আমার বেশকিছু ধান জমিতে নুয়ে পড়েছে। এছাড়া কারেন্ট প্রকার আক্রমণের আশঙ্কায় রয়েছি। ফলে কৃষকরা সঠিক সময়ে ফসল ঘরে তুলতে না পারলে লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে।
রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় শ্রমিক সংকট নেই। বিভিন্ন জেলা থেকে আমাদের উপজেলায় ধান কাটতে শ্রমিক আসছে। ৭০ ভাগেরও বেশি ধান কাটা-মাড়াই হয়ে গেছে। আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ধান কাটা শেষ হবে।
সারাবাংলা/এএম