শহিদ মিনারে মুহিতের মরদেহে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা
৩০ এপ্রিল ২০২২ ১৩:৩৮ | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২২ ১৫:০৫
ঢাকা: কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের মরদেহে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। শনিবার (৩০ এপ্রিল) গুলশানে প্রথম জানাজা শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার মরদেহ শহিদ মিনারে নিয়ে আসা হয়।
রাষ্ট্রপতির পক্ষে মুহিতের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানান তার সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কবীর আহমেদ।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানান আর্মস ফোর্স কমান্ডার এম নাইম রহমান। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক, হাছান মাহমুদ, আব্দুর রাজ্জাক, আসাদুজ্জামান নূর, মতিয়া চৌধুরী, নুরুল ইসলাম নাহিদ।
আরও পড়ুন-
- মুহিতের প্রথম জানাজা সম্পন্ন
- সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতের মৃত্যুতে শোক
- সাবেক অর্থমন্ত্রী আবদুল মুহিত আর নেই
- সদ্যপ্রয়াত মুহিতের দখলে বাজেট উত্থাপনের ২ রেকর্ড
- আব্দুল মুহিত ছিলেন একজন শতভাগ সৎ মানুষ: কাদের
- আমলা থেকে রাজনীতিবিদ-অর্থমন্ত্রী— বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার মুহিতের
- ‘প্রস্তুতি না থাকায় মুহিতের মরদেহ নেওয়া হচ্ছে না জাতীয় সংসদে’
- এপ্রিলে বাড়ি যেতে চেয়েছিলেন আবদুল মুহিত, এপ্রিলেই ‘ফিরছেন’ বাড়িতে
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, কাজী জাফরউল্লাহ চৌধুরী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের পক্ষ থেকে শারমিন রিনবীসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা শেষে শহিদ মিনার থেকে তার মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নিয়ে যাওয়া হয় দ্বিতীয় জানাজার জন্য। সেখান থেকে তার মরদেহ নিয়ে সিলেটের উদ্দেশে রওনা করা হবে।
শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। ৮৮ বছর বয়সী মুহিত বার্ধক্যসহ নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। তিনি একাধারে ছিলেন ভাষাসৈনিক, অর্থনীতিবিদ লেখক।
সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা আবুল মাল আবদুল মুহিত তৎকালীন পাকিস্তান ও স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দফতরে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮১ সালে সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে অর্থনীতি ও উন্নয়ন নিয়ে গবেষণায় নিযুক্ত হন। এসময় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার হয়ে কাজ করেন তিনি। পরে ২০০১ সালে তিনি যোগ দেন রাজনীতিতে। পরের বছরই আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মনোনীত হন। আমৃত্যু দলের সেই পদে বহাল ছিলেন তিনি।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মুহিত। এসময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। পরে ২০১৪ সালেও সংসদ সদস্য এবং টানা দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত হন।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে দুই মেয়াদে জাতীয় সংসদে টানা ১০টি বাজেট উত্থাপনের অনন্য রেকর্ড গড়েন আবুল মাল আবদুল মুহিত। একটানা এত বেশি বাজেট দেশের ইতিহাসে আর কোনো অর্থমন্ত্রী পেশ করতে পারেননি। এর আগে এরশাদ সরকারের অর্থ উপদেষ্টা হিসেবেও দুইটি বাজেট পেশ করেছিলেন মুহিত। সব মিলিয়ে তার উত্থাপন করা বাজেটের সংখ্যা ১২টি। এটিও সর্বোচ্চ বাজেট উত্থাপনের রেকর্ড। তবে বিএনপির সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত সাইফুর রহমানও ১২টি বাজেট উত্থাপন করেছেন সংসদে।
সারাবাংলা/জিএস/এসএসএ
আবুল মাল আবদুল মুহিত ওবায়দুল কাদের টপ নিউজ শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা সাবেক অর্থমন্ত্রী