গরমে চাহিদা বেড়েছে ঘোলের, তৈরি হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে
২৮ এপ্রিল ২০২২ ২৩:৪৬
সিরাজগঞ্জ: গত কয়েকদিন ধরে তীব্র গরম ও রজমান উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী সলপের ঘোলের চাহিদা বেড়েছে। তবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী সলপের এই ঘোল। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই ঘোল তৈরির কর্মযজ্ঞ।
সিরাজগঞ্জ জেলার অনন্য উপজেলা থেকে প্রতিদিন লোকজনেরা এখানে আসেন ঘোলের জন্য। শুধু সিরাজগঞ্জ নয় বিভিন্ন জেলা থেকেও পাইকাররা সলপের ঘোল কিনে নিয়ে তা খুচরা হিসেবে বিক্রি করে থাকেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, উল্লাপাড়া উপজেলার সলপ রেলস্টেশনের সঙ্গেই সলপ দই ঘরসহ বেশ কয়েকটি ঘোলের দোকান। সেখানে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে ঘোল। ঘোল তৈরির কাজে ব্যবহার করা নোংরা পাত্রগুলি পরে আছে যেখানে সেখানে। ভাল করে পরিষ্কার না করেই একই পাত্রে আবার তৈরি করা হচ্ছে ঘোল। মাছি ও অন্যান্য পোকা-মাকড়ও মিশে আছে ঘোলের পাত্রের সাথে। সবার চোখের আড়ালে দোকানের পেছনের রুমে নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে এই ঘোল।
কথা হয় পাবনা থেকে আসা সুজীব সরকারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি পাবনা থেকে এসেছি। পাইকারী হিসেবে এখান থেকে ঘোল কিনে আমার এলকায় বিক্রি করি, সলপের ঘোলের একটা ঐতিহ্য আছে তাই সবাই সলপের ঘোলই কেনে।’
নোংরা পরিবেশে ঘোল তৈরি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি দেখছি এখানে নোংরা পরিবেশে ঘোল তৈরি করা হচ্ছে, কিন্তু আমার এলাকার কেউ তো তা দেখছে না। তাই আমাকে কেউ বলে না, আর আমারও সমস্যা হয় না।’
সলপ দই ঘরের মালিক আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ঘোল তৈরি করি না। এখানে সব পরিস্কার আছে, তবে এই গরমে সবকিছু তো আর ঠিক রাখা সম্ভব হয় না এইটুক হবেই।’
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. উজ্জল হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘সলপে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ঘোল তৈরি করায় মাঝেমধ্যেই ভোক্তা অধিকার আইনের মাধ্যমে ভ্রাম্যামাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা এবং সর্তক করা হয়। প্রয়োজনে আমরা আবারো ভ্রাম্যামাণ আদালত পরিচলনা করে প্রায়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।’
সারাবাংলা/এমও