Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নারায়ণগঞ্জের জলাবদ্ধতা নিরসন করবে দেড়শ কোটি টাকার প্রকল্প

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২২ এপ্রিল ২০২২ ১১:৫৮ | আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২২ ১২:২৩

বর্ষা মৌসুমে নারায়ণগঞ্জের সড়ক এমন পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে [ছবি- সংগৃহীত]

ঢাকা: অবস্থান ঢাকার পাশেই। জেলা শহর তো বটেই, শহরটি দেশের সপ্তম সিটি করপোরেশনের স্বীকৃতিও পেয়েছে এক দশকেরও বেশি সময় আগে। ‘প্রাচ্যের ড্যান্ডি’ হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চলও। সব মিলিয়ে বহুমুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা ও কার্যক্রম চলছে এই শহরে। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় চলছে নানা ধরনের কর্মযজ্ঞ। এর প্রভাব পড়ছে এলাকার বিভিন্ন অবকাঠামোর ওপর। সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার ওপর চাপ পড়ায় বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সদর উপজেলার বাসিন্দাদের নিত্যসঙ্গী। একটু বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় সড়ক, পানি উঠে যায় বসত ঘরে। এমন পরিস্থিতিতেই নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার জলাবদ্ধতা নিরসনের মাধ্যমে এলাকাবাসীর আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদনও দিয়েছে সরকার।

বিজ্ঞাপন

‘নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার জলাবদ্ধতা নিরসন’ শীর্ষক একটি প্রকল্পটি প্রণয়ন করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। ১৪৯ কোটি ৭০ লাখ টাকার প্রকল্পটির আওতায় সদর উপজেলায় ৩৮ হাজার ২৩২ মিটার ড্রেন নির্মাণ করা হবে জলাবদ্ধতার দূর করার জন্য। পাশাপাশি ১৩ দশমিক ৯৪ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন, প্রশস্তকরণ ও সম্প্রসারণ করে যানজট দূর করা হবে। একই প্রকল্পের আওতায় ফুটপাত উন্নয়নের মাধ্যমে পথচারী চলাচলের ব্যবস্থাও উন্নত করা হবে।

বিজ্ঞাপন

গত মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটির আওতায় ১৩ দশমিক ৯৪ কিলোমিটার গ্রাম সড়ক উন্নয়ন, ৪০ কিলোমিটার গ্রাম সড়ক উন্নয়ন (বিসি) এবং ৩৮ হাজার ২৩২ মিটার গ্রাম সড়কে আরসিসি ড্রেন নির্মাণ করা হবে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে। সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে প্রকল্প এলাকায় পরিবেশের ওপর কোনো ধরনের বিরূপ প্রভাব পড়বে না। বরং নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। প্রকল্প এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘ মেয়াদে এর সুফল ভোগ করতে পারবেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পটি প্রস্তাব করার পর গত বছরের ১৫ জুলাই প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। তাতে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) থেকে মোটরসাইকেল কেনা, অফিস ভাড়া, ভূমি অধিগ্রহণ, বৃক্ষরোপণ ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মতো কয়েকটি অঙ্গ বাদ দিতে বলা হয়। সম্পদের সীমাবদ্ধতা ও বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রকল্পের খরচ দেড়শ কোটি টাকার মধ্যেও রাখতে বলা হয়।

পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভায় যেসব সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল সেগুলো প্রতিপালন করে ডিপিপি পুনর্গঠন করেছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ফলে একনেক বৈঠকে উপস্থাপনের পর প্রকল্পটি অনুমোদন পেয়েছে।

প্রকল্পটি নিয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা গেলে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় জলাবদ্ধতার সমস্যা আর থাকবে না। একইসঙ্গে সড়কের মান উন্নয়ন হবে, সড়ক প্রশস্ত হবে। ফলে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগের সুযোগ তৈরি হবে। এলাকাবাসীর আর্থসামাজিক কর্মকাণ্ডে প্রকল্পটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

একনেক সভা জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্প নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নারায়ণগঞ্জে জলাবদ্ধতা

বিজ্ঞাপন

৭ বছর পর মা-ছেলের সাক্ষাৎ
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৩৮

আরো

সম্পর্কিত খবর