ইদের ছুটিতে ৬০ লাখ শ্রমিক ঢাকা ছাড়বে, পর্যায়ক্রমে ছুটির অনুরোধ
১৯ এপ্রিল ২০২২ ১৭:১১ | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২২ ১৮:২৩
ঢাকা: আসছে পবিত্র ইদুল ফিতরের ছুটিতে প্রায় ৬০ লাখ শ্রমিক ঢাকা ত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এই বিপুলসংখ্যক মানুষ ঢাকা ছাড়তে গিয়ে যেন সড়কে বাড়তি চাপ তৈরি না হয়, সে কারণে কারখানাগুলোকে পর্যায়ক্রমে ছুটি দিতে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে ইদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তা এবং দুর্ঘটনা সামাল দিতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখতেও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ইদুল ফিতরের প্রাক্কালে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থতি পর্যালোচনা, ইদের আগে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ, সড়ক-মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখাসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠিত সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে যানজট নিরসনে ছুটির ব্যবস্থা পর্যায়ক্রমে করতে হবে। আমাদের বড় বড় শিল্পগুলো একসঙ্গে শ্রমিকদের ছুটি না দিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ করছি, যেন পর্যায়ক্রমে ছুটিগুলো দেওয়া হয়। ছুটি যদি একসঙ্গে দেয়, তাহলে আমাদের হিসাবে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ ঢাকা ত্যাগ করবে। তারা শুধু শ্রমিক। এর সঙ্গে অন্য মানুষ তো আছেনই। এত মানুষ একসঙ্গে ঢাকা ছাড়তে গেলে যানজটের আশঙ্কা থাকবে। বড় শিল্পগুলো পর্যায়ক্রমে ছুটি দিলে যানজট কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
আরও পড়ুন- দুয়েকদিনের মধ্যেই সহনীয় হবে যানজট: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ইদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তার জন্য বাস, ট্রেন ও লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন রোধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে। ইদ উপলক্ষে ঢাকাসহ সারাদেশে যানজট নিরসনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, জেলা পুলিশ, মেট্রোপলিটন পুলিশের টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে।
ইদে ঘরমুখো মানুষদের অনেক হয়রানির স্বীকার হতে হয়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে পড়ে থাকতে হয়। এসব বন্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না— জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ফেরির সংখ্যা আরও বাড়িয়ে দেওয়া যায় কি না, আমরা সেটি ভাবছি। আমরা চিন্তা করছি— ইদের আগের তিন দিন কেবল খাদ্যদ্রব্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া কোনো পণ্যই ফেরি পারাপার হবে না। আমরা আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছি— ইদের আগের তিন দিন হাইওয়ে দিয়ে ট্রাক যাবে না।
পোশাক কারখানা কবে থেকে ছুটি হবে— জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, গার্মেন্টস ছুটির বিষয়ে বলেছি একসঙ্গে যেন ছুটি দেওয়া না হয়। শিল্প পুলিশসহ বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো বসে সিদ্ধান্ত নেবে, কোন শিল্প কারখানা কখন বন্ধ ঘোষণা করা হবে। শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ, বিদেশি অর্ডারসহ অনেক কিছুর ওপর এ বিষয়টি নির্ভর করবে।
শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এপ্রিল মাসের অগ্রিম বেতন ও বোনাস কবে দেবে, সেটি শ্রম মন্ত্রণালয়ে বসে গার্মেন্টস মালিকরা চুক্তি করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা চাই, সে সিদ্ধান্ত ও চুক্তি বাস্তবায়ন হবে।
সারাবাংলা/জেআর/টিআর