উৎপাদনশীলতা বাড়াতে নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করতে হবে: আলমাস কবীর
১৭ এপ্রিল ২০২২ ১৮:৫৯ | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২২ ২১:০৪
ঢাকা: উৎপাদনশীলতা বাড়াতে নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ ও অভিযোজন করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ও বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিএমসিসিআই) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর।
তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। সেই লক্ষ্যে নতুন প্রযুক্তি (আইওটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিক্স ইত্যাদি) গ্রহণ ও অভিযোজন করা প্রয়োজন। এই প্রযুক্তি সঠিকভাবে ব্যবহার করার জন্য হিউম্যান ক্যাপিটাল তৈরি করতে হবে এবং এর জন্য স্কিল ডেভেলপমেন্ট জরুরি। এ বিষয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিশেষ ভূমিকা প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে আরও বেশি ফরওয়ার্ড লুকিং হতে হবে। টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের ওপর জোর দিতে হবে।
এফবিসিসিআইয়ের উদ্যোগে ‘এক্সপোর্ট চ্যালেঞ্জেস অব বাংলাদেশ আফটার গ্র্যাজুয়েশন ফ্রম এলডিসি স্ট্যাটাস: অপশনস ফর দ্য প্রাইভেট সেক্টর’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। রোববার (১৭ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশে অ্যাসেম্বলিং ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতকে উৎসাহ দিতে নীতিমালা তৈরি, ব্যবসা সহজীকরণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা গ্রহণ করার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান আলমাস কবীর। তিনি বলেন, এর ফলে উন্নত দেশ থেকে স্কিল ট্রান্সফার হবে। চলমান মেগা প্রকল্পগুলোতে বিদেশ থেকে শত শত কোটি টাকার বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইস আমদানি না করে দেশেই সেগুলোর অ্যাসেম্বলিং করলে নলেজ ও স্কিল ট্রান্সফার হবে।
আলমাস কবীর আরও বলেন, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পুনর্বিন্যাস প্রয়োজন। ট্যাক্স পলিসি-মেকার এবং ট্যাক্স অ্যাডমিনিস্ট্রেটর কখনই এক হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়।
এফবিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের আগের চার বছর মোটেও কম সময় নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে গতিতে এগোচ্ছে, তাতে এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন সংস্থার করা হিসাব পরিবর্তন করে দেবে।
অনুষ্ঠানে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো সিরাজুল ইসলাম, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শরিফা খান উপস্থিত ছিলেন। সেমিনার সঞ্চালনা করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এফবিসিসিআইর প্যানেল উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য ড. মোস্তফা আবিদ খান।
সেমিনারে এফবিসিসিআইয়ের প্যানেল উপদেষ্টা ও সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, এমসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, পিডব্লিউসি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা অংশীদার মামুন রশীদ, এফবিসিসিআইয়ের উপদেষ্টা মঞ্জুর আহমেদ, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে দক্ষ জনশক্তি তৈরি, সরবরাহ শৃঙ্খলা অব্যহত রাখা, দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ফাইভজি, ব্রডব্যান্ড পৌঁছে দেওয়া, শিল্পের সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংযোগ, প্রযুক্তি অভিযোজন, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর
এক্সপোর্ট চ্যালেঞ্জেস গ্র্যাজুয়েশন ফ্রম এলডিসি বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার সৈয়দ আলমাস কবীর