ভোটার হতে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ লাগবে না: ইসি
১৫ এপ্রিল ২০২২ ১১:৪৮ | আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২২ ১২:৩৬
ঢাকা: উত্তর আমেরিকা, ইউরোপসহ কয়েকটি দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার হতে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ দেওয়া লাগবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরমধ্য দিয়ে অন্য দেশের নাগরিকত্ব নেওয়া বাংলাদেশিদের ভোটার হওয়ার পথ সহজ করা হলো।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) ইসি থেকে উপজেলা/থানা নির্বাচন পর্যায়ের রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তাদের কাছে ‘দ্বৈত নাগরিক ও বাংলাদেশের নাগরিকত্ব অর্জনকারী বিদেশি নাগরিকদের ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্তকরণ প্রসঙ্গে’ একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়।
ওই পরিপত্রে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণকারী বাংলাদেশের নাগরিককে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ দাখিলের প্রয়োজন হবে না। এছাড়া হংকং, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের নাগরিকত্ব গ্রহণকারী বাংলাদেশের নাগরিককেও এমন সনদ নেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
তবে ‘বিবাহ সূত্রে বাংলাদেশি নাগরিত্ব নেওয়া বিদেশিদের এ দেশে ভোটার হতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাগরিকত্ব সনদ দিতে হবে।’ বলে জানানো হয় পরিপত্রে।
ইসি থেকে মাঠ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, প্রবাসী বাংলাদেশীদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ভোটার হিসেবে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে এবং তারা যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
২০০৭-২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা শুরু হয়। এ সময় ভোটার তালিকাভুক্ত নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু শুরু থেকেই প্রবাসীদের ভোটার তালিকাভূক্ত হতে নানাধরনের হয়রানির অভিযোগ আসছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, দ্বৈতনাগরিকদের নাগরিক সনদ দেওয়ার কথা থাকলেও বিষয়টি এড়িয়ে অনেকে ভোটারও হয়ে যান। সেইসঙ্গে বিদেশে নাগরিকত্ব নেওয়া অনেক বাংলাদেশি নাগরিককের দেশে সম্পত্তিসহ নানা ধরনের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের ভোটার তালিকাভুক্ত করারও বিধান রয়েছে। কিন্তু দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ দেওয়াকে কেন্দ্র করে অনেকেই ভোটার হতে হয়রানিরও শিকার হয়ে থাকে।
ভোটার হওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনও ২০১৮ সালে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ার কথা বলেছিল। আগের স্মারকটি কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন ইসি দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই বাতিল করল।
সারাবাংলা/জিএস/এএম