রাজশাহীতে বর্ষবরণে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান
১৪ এপ্রিল ২০২২ ১৬:২৩ | আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২২ ১৬:৫৪
রাজশাহী: করোনাভাইরাসের প্রকোপে দুই বছর বন্ধ ছিল বাংলা নববর্ষ বরণের আয়োজন। এবারে মহামারি পরিস্থিতি স্তিমিত থাকায় বাঙালির প্রাণের উৎসব বঙ্গাব্দবরণে একটুও কার্পণ্য ছিল না বাঙালির। গানে, নাচে পুরো আয়োজন ছিল প্রাণবন্ত।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) দিনভর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজশাহীতে বর্ষবরণ করা হয়েছে। আর বর্ষবরণের এই আয়োজন থেকে দেওয়া হয়েছে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার ডাক।
বৃহস্পতিবার সকালে ‘নব আনন্দে জাগো আজি, নব রবি কিরণে’ গানে গানে রাজশাহীর পদ্মাপাড়ে বটতলায় নতুন বছরের নতুন সূর্যকে বরণ করে নেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কর্মীরা। এদিন সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঘোষপাড়া পদ্মা মন্দিরে পাশে বটতলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাজশাহীবাসী বর্ষবরণে মেতে উঠে।
পরে মহানগরীর আলুপট্টি মোড় থেকে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। তোতে যোগ দেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। শোভাযাত্রায় সবার কণ্ঠেই ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের শপথ।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেয় রাজশাহী সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগার, রাজশাহী থিয়েটার, জয় বাংলা সাংস্কৃতিক জোট, ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি, রাজশাহী আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র, রাজশাহী ফিল্ম সোসাইটি।
এছাড়াও রাজশাহী কলেজের আয়োজনে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা রবীন্দ্রনাথ ভবন থেকে বের করে কলেজ ক্যাম্পাস ঘুরে পুনরায় সেখানে গিয়ে শেষ হয়। এসময় নানা আয়োজনে বাঙালির সংস্কৃতি বিভিন্ন সাজে সেজে গান-বাজনার তালে ফুটিয়ে তোলে।
এদিকে, রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে সকাল ১১টার দিকে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। পরে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল।
বাংলা বর্ষবরণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণও সেজেছে রঙতুলির রঙিন ছোঁয়ায়। অনুষদের শিক্ষার্থীরা তাদের পুরোনো জরাজীর্ণ ভবনটিকে রাঙিয়ে তুলেছেন। হরেক রকমের রঙতুলির ছোঁয়ায় সাদা রঙের দেয়ালে ফুটিয়ে তুলছেন গ্রামবাংলার লোকজ সংস্কৃতি।
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলেন, এবারের বৈশাখের মূল প্রতিপাদ্য হলো হালখাতা। যেহেতু হালখাতার মাধ্যমেই বাঙালিদের মাঝে নববর্ষ উদযাপনের প্রচলন হয়েছিল, তাই আমরা সেটিকে ধারণ করেই এবারের বৈশাখ উদযাপন করতে যাচ্ছি। হালখাতার মাধ্যমে আমরা এই বিষয়টির ইঙ্গিত দিচ্ছি— এখন থেকে আমরা নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা নেব এবং সময়মতো পরীক্ষার ফলপ্রকাশ করব।
সারাবাংলা/টিআর