Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করলে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হবে: আকবর আলি খান

সারাবাংলা ডেস্ক
৯ এপ্রিল ২০২২ ১৫:১৩

ঢাকা: বাংলাদেশে শতভাগের অধিক ভোট পেয়েও নির্বাচিত হওয়ার নজির রয়েছে। এ ধরনের ঘটনায় নির্বাচন বাতিল করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের থাকলেও তা প্রয়োগ করা হয়নি বরং জালিয়াতির সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। সেই জন্য বর্তমান কমিশনকে সাহসী হতে হবে। অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে জেলা প্রশাসকের পরিবর্তে জেলা জজদের রিটার্নিং কর্মকতা নিয়োগ করা যেতে পারে। বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থায় সরকারি দল না চাইলে নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তন সহজ নয়। তবে দীর্ঘস্থায়ী গণআন্দোলনের মাধ্যমে পরিবর্তন আনা সম্ভব, সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক সমঝোতা জরুরি।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচনে হস্তেক্ষেপ করলে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য বিদেশিদের পরোক্ষ চাপ থাকবে। তবে বিদেশিদের চাপ সরকার কীভাবে নিবে তা বলা কঠিন। ভালো নির্বাচনের জন্য পাকিস্তানের বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থা অনুসরণ করে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে। যেখানে সাবেক প্রধান বিচারপতি সরকার প্রধান হিসেবে কাজ করেন এবং বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা নির্বাচন পরিচালনায় সম্পৃক্ত থাকেন। নির্বাচনকালীন সরকারসহ জাতীয় পর্যায়ে অমীমাংশিত বিষয়ে গণভোটের বিধান চালু করলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজতর হবে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৯ এপ্রিল) এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা নিয়ে এক ছায়া সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান এ সব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘একটি অংশগ্রহণমূলক অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। ইসির সঙ্গে চলমান সংলাপে পেশাজীবী প্রতিনিধিদের বেশিরভাগই নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থার বিষয়ে নানা প্রস্তাব করেছেন। অনেকে মনে করছেন সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচনকালীন সরকার কী হবে তার জন্য আইন ও সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হলে ইসি সরকারকে সেটি প্রস্তাব করবেন।’

সর্বশেষ সংলাপের আলোকে ইসি বলেছেন ‘নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি রাজনৈতিক নেতারা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

তাই আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ইসি জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারবে কি না তা বোঝার জন্য আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।

নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ ১০ দফা সুপারিশ করেন।

প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি এর বিতার্কিকরা অংশ নেয়। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে ছায়া সংসদের বিষয় ছিল- বর্তমান নির্বাচন কমিশন জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হবে। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক শাকিলা জেসমিন ও সাংবাদিক কাজী জাবেল। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।

সারাবাংলা/একে

আকবর আলি খান ইসি টপ নিউজ নির্বাচন নির্বাচন কমিশন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর