Thursday 23 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভ্যানচালকের মেয়ে মেডিকেলে, ছেলে ঢাবিতে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৮ এপ্রিল ২০২২ ১১:২২ | আপডেট: ৮ এপ্রিল ২০২২ ১৩:২১

ঠাকুরগাঁও: নিজের জায়গা-জমি নাই। সম্বল বলতে একটা মাত্র ভ্যানগাড়ি। তাই দিয়েই সন্তানদের নিয়ে গেছেন দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে। বলছিলাম ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভ্যানচালক আফতাবর রহমানের গল্প। তার মেয়ে আল্পনা আকতার এ বছর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

আফতাবর রহমানের বাড়ি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ধারিয়া বেলসাড়া গ্রামে। বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন, ছোট মেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ছে। মেঝ মেয়ে আল্পনা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কুশডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে মেডিকেলে চান্স পেয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

আফতাবর রহমান বলেন, ভ্যান চালিয়ে ছেলেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছি। এবার মেয়েটাও মেডিকেলে চান্স পেয়েছে।

আফতাবর রহমান জানান, ছেলেকে ভর্তির সময় ২৫ শতক জমির মধ্যে ৫ শতক জমি বিক্রি করেন তিনি। প্রতিমাসে ছেলেকে ৩-৪ হাজার টাকা পাঠাতে বাকি জমিটুকুও শেষ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে সংসার খরচ ও সন্তানদের পড়ালেখার খরচ যোগানো এখন কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিন ভ্যান না চালালে চুলো জ্বলে না।

তিনি বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে দুই সন্তানই পড়াশোনার সময় ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে শিক্ষাবৃত্তি পেয়েছে। সেই অর্থে পরিবারের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হয়েছে। মেয়েকে ভর্তি করানোর টাকা যোগাড় করতে ইতোমধ্যেই নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, ঋণ করে না হয় মেয়েকে ভর্তি করালাম কিন্তু তার নিয়মিত খরচ কীভাবে যোগাব তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

আলপনা আক্তার বলেন, বাবা-মা অনেক আশা নিয়ে পড়ালেখা করাচ্ছেন। আমি যেন মানুষ হয়ে মানুষের পাশে থেকে রাষ্ট্রের সেবক হয়ে কাজ করতে পারি।

বিজ্ঞাপন

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন বলেন, আলপনা মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছে, এটা অবশ্যই গর্বের। মেয়েটির ভর্তির জন্য আর্থিক সাহায্যের আবেদন করলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।

সারাবাংলা/এএম

টপ নিউজ ভ্যানচালক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর