ই-অরেঞ্জের গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে হাইকোর্টের রুল
৭ এপ্রিল ২০২২ ১৬:৪৪ | আপডেট: ৭ এপ্রিল ২০২২ ১৭:৩৫
ঢাকা: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের গ্রাহকদের অর্থ উদ্ধার করে তাদের ফেরত দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ই-অরেঞ্জের গ্রাহকদের অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএফআইইউ, দুদককে তদন্ত করে আগামী ৭ আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)‘র প্রধান, বনানী থানার সাময়িক বরখাস্ত পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা, সত্ত্বাধিকারী সোনিয়া মেহজাবিন ও বীথি আক্তারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম ও আইনজীবী এম আব্দুল কাইয়ুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
এর আগে, গত ৩ এপ্রিল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ গ্রাহকের প্রায় ৭৭ কোটি টাকা উদ্ধারের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার পাঁচ শতাধিক গ্রাহকের পক্ষে ছয়জন গ্রাহক এই রিট দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে যাত্রা শুরু করা অনলাইন শপ ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গত বছরের মাঝামাঝি থেকে গ্রাহকরা টাকা নিয়ে সময় মতো পণ্য সরবরাহ না করার অভিযোগ ওঠে। পণ্য ডেলিভারি না দেওয়া এবং অগ্রিম অর্থ ফেরত না দেওয়ায় ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান এখন কারাগারে রয়েছেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম