Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মিষ্টিকুমড়া দিয়েও খুব ভালো বেগুনি বানানো যায়: প্রধানমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৬ এপ্রিল ২০২২ ২০:৩৭ | আপডেট: ৭ এপ্রিল ২০২২ ০৩:০৩

ফাইল ছবি: সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা: রমজান আসতে না আসতেই বেগুনের বাজার চড়া। পহেলা রমজানের আগের দিন বাজারে একশ টাকার বেশি দামে বিক্রি হয়েছে একেক কেজি বেগুন। ইফতারে বেগুনি খাওয়া তাই সবার জন্য সম্ভব হবে না— এমন আক্ষেপ করতে দেখা গেছে অনেককেই।

বেগুনের দাম আর বেগুনি নিয়ে এমন সব বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন, সহজলভ্য যেসব সবজি রয়েছে, সেগুলো দিয়েও ইফতারের জন্য চপ বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন মিষ্টিকুমড়ার কথা। বলেছেন, বেগুনের বদলে মিষ্টিকুমড়া দিয়ে খুব ভালো বেগুনি বানানো যায়। আমরা এভাবে করি।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের কার্যক্রম চলছিল।

বাজারে বাড়তি দ্রব্যমূল্য বিষয়ে অধিবেশনে কথা বলেন বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা। এর প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মোটা চালের দাম এখন ৪৬ টাকার মতো আছে। সেটি খুব বেশি বাড়েনি। চিকন ‍ও মাঝারি চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। আলু পাইকারি বাজারে ২০ টাকা খুচরা বাজারে ২৫ টাকা। পেঁয়াজের দামের জন্য এখন কৃষক হাহাকার করছে।

আরও পড়ুন- শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট বিষয়ে বাংলাদেশ সতর্ক: প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা বলেন, বেগুনের দাম ১১০ টাকার ওপরে চলে গেল। সেটা এখন কমে ৮০ টাকায় এসেছে। তা বেগুন দিয়ে বেগুনি না খেয়ে আরও যেসব সবজি সহজলভ্য আছে, সেগুলো দিয়ে খেলেই হয়। আমরা তো তাই খাই।

নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন দ্রব্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘মানুষ যেন বেশি কষ্ট না পায়, সেই পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

সমাপনী অধিবেশনে সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, যানজট, প্রকল্প বাস্তবায়নের খরচ বেড়ে যাওয়া, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। শ্রীলংকার অর্থনৈতিক সংকটের প্রসঙ্গ ধরে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়েও তিনি শঙ্কা জানান।

প্রায় প্রতিটি বিষয়েরই জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পের খরচ বেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। রড-সিমেন্টসহ প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে। এটি কেবল আমাদের দেশে নয়, সব দেশে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ার জন্য আমেরিকার অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এক ডলারের তেল চার ডলার হয়ে গেছে। কোনো কিছুর দাম বাড়লে তার সঙ্গে অ্যাডজাস্টমেন্ট করে নিতে হয়। না হলে আমাদের কাজ সম্পন্ন হবে না।

তারপরও বিএনপি-জাতীয় পার্টির শাসনামলের তুলনায় দুর্নীতি কম হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘বিএনপি-জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকতে বিদেশ থেকে কোনো জিনিস কেনার সময় ১০ টাকার জিনিস ২০ টাকায় কিনে বাকি ১০ টাকা পকেটে ঢুকাত। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে সেটি হয় না। আমরা বরং দাম কমিয়ে আনি।’

সময়মতো প্রকল্প শেষ না হওয়ার বিষয়ে জি এম কাদেরের বক্তব্যের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা পায়রা পাওয়ার প্ল্যান্ট আট মাস আগে উদ্বোধন করেছি। এতে প্রায় ৮০ কোটি টাকা বেঁচে গেছে। আমরা প্রতিটি কাজ আগে করি কিছু টাকা বাঁচাই। কিছু কিছু জায়গায় ঠিকই কাজ হয়।’

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

টপ নিউজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিষ্টিকুমড়ার বেগুনি সংসদ অধিবেশন

বিজ্ঞাপন

টানা সাতে জয়ে দুর্বার মোহামেডান
১০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৪৫

আরো

সম্পর্কিত খবর