Thursday 23 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যে কারণে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ছে না

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৫ এপ্রিল ২০২২ ১৫:১২ | আপডেট: ৫ এপ্রিল ২০২২ ১৮:০৩

ঢাকা: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরদার হোসেন বলেছেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলে নিয়োগপরীক্ষা বেশি প্রতিযোগিতামূলক ও ৩০-এর কম বয়সীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হবে।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারি দলের হাবিবে মিল্লাতের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রতিমন্ত্রী জানান, অতীতে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখযোগ্য সেশনজট নেই বললেই চলে। ফলে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি এবং ২৩/২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে থাকে। সাধারণ প্রার্থীদের জন্য চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর বিধায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরও তারা চাকরিতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৬/৭ বছর সময় পেয়ে থাকে। এছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ১/২ বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না।

প্রতিমন্ত্রী জানান, সম্প্রতি চাকরি হতে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৭ হতে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ায় বর্তমানে শূন্য পদের সংখ্যাও স্বাভাবিকভাবেই কমেছে। এই প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সমীসা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরি প্রার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে অধিকতর প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে বয়স বর্তমানে ৩০ বছরের উর্ধ্বে তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও অনূর্ধ্ব ৩০ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে। এ প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এএম

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর