সংসদ ভেঙে দিলেন প্রেসিডেন্ট, আগাম নির্বাচনের পথে পাকিস্তান
৩ এপ্রিল ২০২২ ১৬:৩৫ | আপডেট: ৩ এপ্রিল ২০২২ ১৭:৪১
অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হওয়ার পর পাকিস্তানের বর্তমান জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। সংসদে স্পিকার অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দিলে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টকে সংসদ ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
পাকিস্তানের দ্য ডন এ খবর দিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, রোববার (৩ এপ্রিল) প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে সংসদ ভেঙে দেওয়া সংক্রান্ত একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিতে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি সংবিধানের ৫৮ (১) ধারা ও ৪৮ (১) ধারা অনুযায়ী অনুমোদন করেছেন।
জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার ফলে এখন আগাম নির্বাচনের পথে হাঁটছে পাকিস্তান। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী শাহবাজ গিল এ তথ্য জানিয়েছেন। এছাড়া দেশটির তথ্য প্রতিমন্ত্রী ফররুখ হাবিব এক টুইটে বলেছেন, আগামী ৯০ দিনের মধ্যে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন- অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ, পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ ইমরানের
পাকিস্তানের সংবিধানের এই ৫৮ ধারায় বলা আছে, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে জাতীয় পরিষদ আরও আগে ভেঙে না গেলেও প্রধানমন্ত্রীর এমন পরামর্শ প্রদানের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ভেঙে যাবে।
এর আগে, রোববার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত আনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি। অনাস্থা প্রস্তাবটি সংবিধানের ৫ অনুচ্ছেদের বিরোধী বলে অভিহিত করেন তিনি।
অনাস্থা প্রস্তাব খারিজকে অভিনন্দন জানিয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, অনাস্থা প্রস্তাব বাতিলের মধ্য দিয়ে বিদেশি চক্রান্তে সরকার বদলের যে চেষ্টা, সেটি নস্যাৎ করে দিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার।
ওই সময়ই প্রেসিডেন্টকে সংসদ ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি জাতির উদ্দেশে বলেন, কোনো দুর্নীতিবাজ ঠিক করে দিতে পারে না যে আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ কী হবে। যখন সংসদ ভেঙে যাবে, পরবর্তী নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।
অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও ভুল পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণের অভিযোগ তুলে ইমরান খান ও তার নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের বিরুদ্ধে গত ৮ মার্চ অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধী দলগুলো। পরে শরিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টে (এমকিউএম) বিরোধী শিবিরে যোগ দিলে জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় ইমরান সরকার। এ ক্ষেত্রে অনাস্থা ভোটে তিনি হেরে যাবেন এবং প্রধানমন্ত্রিত্ব হারাবেন— এরকমই অনুমান করছিলেন সবাই।
রোববার সংসদ অধিবেশনে সে অনুমান ভুল প্রমাণিত হলো। অনাস্থা ভোটে জয়ী হওয়ার সন্তুষ্টি নিয়েই বিরোধী দলগুলো অধিবেশনে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু ডেপুটি স্পিকার প্রস্তাবটি খারিজ করে দেওয়ায় এখন আগাম নির্বাচনের পথে পাকিস্তান।
সারাবাংলা/টিআর
আগাম নির্বাচন আরিফ আলভি ইমরান খান টপ নিউজ পাকিস্তান পাকিস্তান সংসদ