Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঘরে মায়ের লাশ, বাইরে ছেলে ও তার স্ত্রীর স্বাভাবিক চলাফেরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১ এপ্রিল ২০২২ ০০:২৬

রাজশাহী: ঘরে মায়ের লাশ রেখে স্বাভাবিক চলাফেরা ও আচরণ করছিলেন বড় ছেলে ও তার স্ত্রী। বাড়িতে মাকে দেখতে না পেয়ে ছোট ছেলের সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে তিনি ঘরের ভেতরে ঢুকে মায়ের ঝুলন্ত লাশ শনাক্ত করেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সকালে ঘটনাটি ঘটে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার যোগীপাড়া গ্রামে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত বড় ছেলে ও তাঁর স্ত্রী পলাতক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যোগীপাড়া গ্রামের শাহিদা বেওয়া (৭০) স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে ছেলেদের সঙ্গে থাকতেন। স্বামীর জমি বড় ছেলে হামিদুল ইসলাম ভোগদখল করে আসছেন। কিছুদিন ধরে হামিদুল ও তার স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য হয় শাহিদার। তারা খাবার দেওয়াও বন্ধ করে দেন মাকে। শাহিদা অন্য স্বজনদের সহযোগিতায় কোনোরকমে দিনযাপন করছিলেন। বুধবার রাতে হামিদুল ও তার স্ত্রীর সঙ্গে শাহিদার ঝগড়া হয়। পরে পাশাপাশি ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন শাহিদা।

সকালে হামিদুল ও তার স্ত্রী আকলিমা ঘুম থেকে উঠে বাড়িতে স্বাভাবিক কাজ করছিলেন। দুপুর পর্যন্ত শাহিদাকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে ছোট ছেলে বিরল হোসেনের সন্দেহ হয়। মায়ের বিষয়ে হামিদুলকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি অসংলগ্ন কথা বলেন। পরে মায়ের ঘরের ভেতরে ঢুকে তার লাশ দেখতে পান বিরল। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

বিরল হোসেন বলেন, ‘তার মাকে রড দিয়ে পিটিয়ে, শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে লাশ ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’

নিহত শাহিদার মেয়ের স্বামী শামসুল আলম বলেন, ‘তার শাশুড়ির গলা ও পেটের নিচে আঘাতের চিহ্ন আছে। হামিদুল ও তার স্ত্রী আকলিমা তাকে মেরে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। ঘটনা প্রকাশের পর থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী পলাতক।’

বিজ্ঞাপন

বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, ‘পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হবে।

সারাবাংলা/এমও

মায়ের লাশ রাজশাহী স্বাভাবিক চলাফেরা

বিজ্ঞাপন

‘আরও কঠিন পথ পারি দিতে হবে’
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:৫৬

আরো

সম্পর্কিত খবর